‘ভ্ৰমণ’ পত্রিকাতে গত চার পাঁচ বছরে ‘অন্য চোখে’ শীর্ষক কিছু লেখা লিখেছিলাম। বনভ্ৰমণ আর বনভোজন যে এক নয়, বন-ভ্রমণও এক বিশেষ শিল্প এ কথা বহুদিন ধরে পাঠক-পাঠিকার মনে গেথে দেওয়ার চেষ্টা করে আসছি। তাতে ফল যে হয়েছে তা জেনে ভাল লাগে। চোখ-নাক-কান সব মানুষেরই থাকে কিন্তু বনগামী মানুষের চোখ-নাক-কানকে বনের সব দৃশ্য গন্ধ এবং শব্দকে পুরোপুরি ইন্দ্ৰিয়গ্রাহ্য করে তোলাতে কিছু সচেতন চেষ্টার হয়ত প্রয়োজন হয়। যাতে সেই সচেতনতা পাঠক-পাঠিকাদের মধ্যে উজ্জীবিত হয়। সেই উদ্দেশ্যেই এই সংকলনের নামকরণ করলাম ‘অন্য চোখে’। সাম্প্রতিক অতীতে একটি পাক্ষিক পত্রিকাতে দুটি লেখা লিখেছিলাম। সে দুটিও সংকলিত হল। সংবাদ প্রতিদিন-এর রবিবাসরীয়তে ‘হায়! বড়মিঞা’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল সাম্প্রতিক অতীতে সেটিও সংযোজিত হল। -বুদ্ধদেব গুহ
বুদ্ধদেব গুহ
এই সময়ের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম বুদ্ধদেব গুহ। পেশাগত দিক থেকে তিনি একজন নামী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। দিল্লির কেন্দ্রীয় রাজস্ব বাের্ড তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের আয়কর বিভাগের উপদেষ্টা বাের্ড-এর সদস্য নিযুক্ত করেছিলেন। আকাশবাণীর কলকাতা কেন্দ্রের অডিশান-বাের্ড এর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ফিল্ম সেন্সর বাের্ড-এর সদস্যও ছিলেন তিনি। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনবিভাগের বন্যপ্রাণী উপদেষ্টা বাের্ড, পর্যটন বিভাগের উপদেষ্টা বোের্ড এবং নন্দন’ উপদেষ্টা বাের্ড-এরও সদস্য। বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের পরিচালন সমিতির সদস্যও নিযুক্ত হয়েছেন। বুদ্ধদেব ছবিও আঁকেন। নিজের একাধিক বই-এর প্রচ্ছদ তিনি নিজেই এঁকেছেন। গায়ক হিসেবেও তিনি বহুজনের প্রিয়। ব্যতিক্রমী লেখক বুদ্ধদেব বাঙালি পাঠক-পাঠিকাদের একাধিক প্রজন্মকে যে ভারতের বন-জঙ্গল, বাদা-নদী, পশু-পাখি এবং অরণ্যে লালিত-পালিত সাধারণ গরিব-গুরবাে মানুষদের ভালবাসতে উদ্বুদ্ধ করেছেন তা সর্বজনস্বীকৃত। নারী-পুরুষের প্রেম-বিরহ সম্পর্কেও তাঁর কলম অপ্রতিদ্বন্দ্বী । বুদ্ধদেবের সহধর্মিণী সম্রান্ত রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়িকা শ্রীমতী ঋতু গুহ।