‘মানব-মানবীর মন বিনিময় যদি
সত্যি ও চিরন্তন ভাবতে হয়;
তবে কবিতা হবে সেই মনের
বড় খোরাক, একান্ত আশ্রয়।’
কবি যখন কলম ধরেন তখন তিনি ধ্যানস্থ ঋষি। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য সকল বস্তুর সৌন্দর্য এক লহমায় দেখে নিতে পারেন কবি; যার বহিঃপ্রকাশ কবিতার শব্দে, যথাশব্দে পাঠকের হৃদয়-মনকে ভাবিয়ে তোলে। দেহ ও মনের সংবেদন সৃষ্টির বিচিত্র অনুভূতির বর্ণিল প্রকাশ কবির ‘অনুভূতির খেরোখাতা’। নারী-পুরম্নষের সহজাত বিষয়-ভাবনার গভীরে ডুবে, তলদেশ থেকে তুলে-আনা ভাবনার নির্যাসে শব্দায়তন, শব্দ চয়ন ও শব্দের গাঁথুনিতে উপভোগ্য হয়ে উঠেছে ‘অনুভূতির খেরোখাতা’-র প্রতিটি কবিতা; যা পাঠকের সংবেদী চিত্তকে নাড়া দিতে সক্ষম।