আল্লাহ তা’আলার নিকট মানুষের মূল্য নির্ধারিত হয় কালবে সালীম বা নিরোগ আত্মার ভিত্তিতে। নিষ্কলুষ আত্মা না হওয়া পর্যন্ত আখেরাতের যিন্দেগীতে কারও কোনো পুরষ্কার নির্ধারিত হবে না।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“যেদিন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোনো কাজে আসবে না; সে দিন উপকৃত হবে শুধু সে, যে আল্লাহর কাছে আসবে বিশুদ্ধ অন্তঃকরণ নিয়ে।”
[সূরা আশ-শু’আরা, আয়াত: ৮৮-৮৯]
আর সেজন্যই আমরা দেখি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“সাবধান! শরীরে একটি চিবানো গোস্তের টুকুরা রয়েছে। যদি সেটি বিশুদ্ধ হয়ে যায় তবে সারা শরীরই বিশুদ্ধ হয়ে যায়, আর যখন তা বিনষ্ট হয়ে যায় সারা শরীর বিনষ্ট হয়ে যায়, সাবধান, তা হচ্ছে কালব বা অন্তর।”
সুতরাং এ কালবের বিশুদ্ধি একান্তভাবেই কাম্য। কালবেই তাওহীদের জায়গা হয় আর মুখ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমলের মাধ্যমে তা প্রকাশ পায়। আবার শির্কও এ কালবেই স্থান করে নেয়, আর মুখ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে মানুষ সেটা ব্যক্ত করে। মূলত এমনসব বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা অতি গুরুত্বপূর্ণ যা অন্তরকে বিশুদ্ধ করে।
অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, এ বিষয়গুলো নিয়ে শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ “মুফসিদাতুল কুলূব” ও “আমালুল কুলূব” নামক সিরিজ লিখেছেন। তারই বাংলা অনুদিতরুপ ❝অন্তরের রোগ ও আমল❞ এই সিরিজ।