একজন মাসীহ, ত্রাণকর্তা বা নেতাকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে পৃথিবী। বেইনসাফ আর জুলুমেপূর্ণ পৃথিবীর শেষ সময়ে, তাঁর নেতৃত্বে ঘটবে শেষ মহাযুদ্ধ।প্রধান সব ধর্মের গ্রন্থগুলোর ভবিষ্যৎবানীতে সেই মহাযুদ্ধকে বলা হয়েছে – মালহামা, মহাপ্রলয়, আরমাগেডন ।
সত্য মিথ্যার মাঝে শেষ মিমাংসা হয়ে যাবে এই যুদ্ধে ।
মাসীহ আসবেন-
তাই আগামী পৃথিবীর শাসন কর্তৃত্ব নিজেদের হাতে রাখার জন্য আবর্তিত হচ্ছে বর্তমান বিশ্ব রাজনীতি, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি ও সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।
শুভ এবং অশুভ শক্তির মাঝে প্রাধান্য বিস্তারের গোপন লড়াইয়ের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে পৃথিবীর প্রতিটি দেশ। প্রকাশ্য যুদ্ধের আগে এখন এই গোপন যুদ্ধটাই – The beginning of the End.
সেই গোপন যুদ্ধের খবরটা জেনে যায় এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকার এক অনুসন্ধানি সাংবাদিক। তার পত্রিকা রিপোর্টটা ছাপেনি। উপরন্ত এক রহস্যময় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার।
তদন্তে নেমে এক পুলিশ অফিসার জানতে পারে এক ভয়ঙ্কর – সত্য ।
সেটা এমন সত্য, যে জানে, সে ডেকে আনে তার নিজের মৃত্যু।
লতিফুল ইসলাম শিবলী
'৮০ আর '৯০ দশক জুড়ে একদল খ্যাপাটে তরুণ বাংলা গান দিয়ে একটা সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছিল, লতিফুল ইসলাম শিবলী তাদের একজন।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের আগেই তার কবিতাগুলাে হয়েছিল গানে গানে জনপ্রিয়-জেল থেকে বলছি, তুমি আমার প্রথম সকাল, আমি কষ্ট পেতে ভালবাসি, কেউ সুখি নয়, হাসতে দেখাে গাইতে দেখাে, হাজার বর্ষারাত, পলাশীর প্রান্তর, প্রিয় আকাশী...৯০ দশক জুড়ে লিখেছেন এমন তিন চারশাে গান। পুরাে একটা জেনারেশনের দৈনন্দিন দুঃখ সুখের ডাইরি হয়ে আছে শিবলীর গান। আধুনিক তারুণ্যের ভাষাকে তিনি তার গীতিকবিতায় এঁকেছেন অত্যন্ত সহজসরল রক’ এর ভাষায়। তাই অল্প সময়ের মধ্যেই শিবলী পরিণত হয়েছেন এদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের কিংবদন্তি গীতিকবিতে।
শুরুটা হয়েছিল গ্রুপথিয়েটার নাট্যচক্রে, তারপর শিল্পের অন্যান্য মাধ্যমে। কমপ্লিট ম্যান' খ্যাত সেঞ্চুরি ফেব্রিকসের দুর্দান্ত সেই ঝুঁটিবাধা মডেল শিবলী ছিলেন তার সময়ের ফ্যাশন আইকন সফল নাট্যকার। বিটিভির যুগে তার লেখা প্রথম সাড়া জাগানাে নাটক ‘তােমার চোখে দেখি’ আর রাজকুমারী। রাজকুমারী’তে মির্জা গালিব চরিত্রে তাঁর অনবদ্য অভিনয় এখনও অনেকের মনে থাকার কথা।
শিবলীর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- ‘ইচ্ছে হলে ছুঁতে পারি তােমার অভিমান’ (১৯৯৫) দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ‘তুমি আমার কষ্টগুলাে সবুজ করে দাও না’ (২০১০) তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ- 'মাথার উপরে যে শূন্যতা তার নাম আকাশ, বুকের ভেতর যে শূন্যতা তার নাম দীর্ঘশ্বাস' (২০১৪) বাংলা একাডেমী থেকে প্রথম প্রকাশিত হওয়া এই প্রবন্ধগ্রন্থটি ব্যান্ড সংগীতের ওপর লিখিত প্রথম এবং একমাত্র গবেষণাধর্মী প্রবন্ধগ্রন্থ। নিজের লেখা সুর ও কম্পােজিশনে এবং নিজের কণ্ঠে গাওয়া তার প্রথম অ্যালবাম- “নিয়ম ভাঙার নিয়ম (১৯৯৮)
শিবলী’র কাহিনী সংলাপ এবং চিত্রনাট্যে প্রথম পূর্ণদৈঘ্য চলচ্চিত্র ‘পদ্মপাতার জল' (২০১৫) প্রথম বেস্টসেলার উপন্যাস ‘দারবিশ’ (২০১৭), দ্বিতীয় উপন্যাস দখল’ (২০১৮)। স্বভাবজাত বােহেমিয়ান, ঘুরেছেন ইউরােপের পথে-প্রান্তরে। প্রিয় বিষয় কম্পারেটিভ আইডিওলজি অ্যান্ড রিলিজিয়ন স্টাডিজ, পলিটিক্স, হিস্ট্রি, এনভায়রনমেন্ট, পেইন্টিংস একাডেমিক শিক্ষায় তিনি মাস্টার্স। জন্ম ১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখের সুবেহ সাদিকের সময়। নব্বই দশকের স্বৈরশাসনবিরােধী আন্দোলনের ভেতর দিয়েই তার বেড়ে ওঠা। শৈশব-কৈশাের আর তারুণ্যের শহর নাটোর, যৌবনের শহর ঢাকা ও লন্ডন। ওমর এবং ওসমান নামের দুই সন্তানের বাবা তিনি।