রহস্য-রোমাঞ্চ সাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম স্রষ্টা এডগার অ্যালান পো’র রচিত ‘দ্য ন্যারেটিভ অফ আর্থার গর্ডন পিম অফ নানটাকাট’ গ্রন্থের একপ্রকার আনুষ্ঠানিক সিক্যুয়েল এই ‘অ্যান অ্যানটার্কটিক মিস্ট্রি’। গল্পের নায়ক, জিওরলিং একজন বিত্তবান আমেরিকান নাগরিক। কার্গুলেন দ্বীপের প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ঘটনাচক্রে তাঁর পরিচয় হয় হ্যালব্রেন জাহাজের ক্যাপ্টেন লেন গায়ের সাথে। দ্বীপ থেকে বেরিয়ে আমেরিকা প্রত্যাবর্তনের উদ্দেশ্যে হ্যালব্রেনে চড়ে বসেন জিওরলিং। তবে তাঁর অভীষ্ট পূরণ হওয়ার আগেই তিনি বুঝতে পারেন, লেন গায় তাঁর জনা বারো সহকর্মী নিয়ে নীল সমুদ্রে খুঁজে বেড়াচ্ছেন বিশেষ কিছু। স্রেফ মাল পরিবহন হ্যালব্রেনের লক্ষ্য নয়।
কথার পৃষ্ঠে কথা ওঠে। জানা যায়, লেন গায় বিশ্বাস করেন যে অ্যালান পো রচিন ঐ উপন্যাস সর্বৈব সত্য। তার প্রতিটা চরিত্র, ঘটনা এবং বিবরণ নিয়ে তিনি নিশ্চিত। কেবল উপসংহারেই ওঁর যত আপত্তি। তাই তিনি খুঁজে দেখতে চান সেই উপন্যাসে বর্ণিত ‘জেন’ জাহাজের যাত্রাপথ। ধাওয়া করতে চান সেই অজানা, অচেনা, শ্বেতশুভ্র অ্যান্টার্কটিক সীমানাকে। কিন্তু কেন? একটা উপন্যাস যতই চিত্তাকর্ষক হোক না কেন, তার জন্য নিজের ও আরো প্রায় দেড় ডজন লোকের জীবন তুচ্ছ করে কেন লেন গায় ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন বিপদের মাঝে? কোন রহস্য লুকিয়ে আছে ঐ জনহীন অ্যান্টার্কটিকের বুকের ভিতর? গল্পের নায়কই বা কেন এই পাগলামিতে তাঁদের দলে ভীড়ে গেলেন? হ্যালব্রেনের শেষ পরিণতি কী? এই বইয়ের ছত্রে ছত্রে খুঁজে পাবেন এইসব প্রশ্নের উত্তর। আর শরিক হবেন এক রোমহর্ষক অ্যাডভেঞ্চারের।
জুল ভার্ন
জুল গাব্রিয়েল ভার্ন একজন ফরাসি লেখক ও অসামান্য সব বিজ্ঞান কল্পকাহিনী রচনার জন্য বিখ্যাত। উড়োজাহাজ, রকেট কিংবা সাবমেরিনের বাস্তবিক ও ব্যবহারিক প্রয়োগের অনেক পূর্বেই তিনি মহাকাশ ভ্রমণ ও সমুদ্রের তলদেশে ভ্রমণের কল্পকাহিনী লিখেছিলেন। পৃথিবীতে আগাথা ক্রিস্টির পরেই তাঁর লেখা সবচেয়ে বেশী বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।