‘আমাদের বিষাদ ও বেদনার দৈনন্দিন অবশেষগুলো কোথাও না কোথাও জমা পড়ে। জমতে জমতে কখনো হয়তো স্রোতস্বিনী নদীর মতো বয়ে যায়। অথবা জগদ্দল পাহাড়ের মতো জেগে ওঠে চোখের সমুখে। কিংবা হয়তো বাষ্পীভূত মেঘের জীবনচক্র পেরিয়ে একসময় ঝরেও পড়ে। কবির ক্ষেত্রে এই দৈনন্দিন বিষাদই একসময় কবিতায় রূপ নেয়। কিন্তু এ বিষাদ স্রোতস্বিনীর মতো বয়ে যায় না, পাহাড়ের মতো গতি রোধও করে না। এ যেন এক মেঘের পরিভ্রমণ। পঙ্ক্তি হয়ে ঝরে পড়েছে কবিতার খাতায়। ফেরদৌস আরা রুমীর “আম্মার বাগান” মূলত এই পরিভ্রমণেরই গল্প। আটপৌরে জীবনযাপনের অলিতে-গলিতে লুকানো সহস্র অনুভব জড়ো করে লেখা এই গল্প প্রকাশিত হয়েছে খণ্ড খণ্ড কবিতায়। কবিতাগুলোর আপাতসারল্যের আড়াল পেরিয়ে পাঠককে নিয়ে যায় এক অসাধারণ অনুভূতির কাছে। যেখানে রুমীর আম্মার বাগান হয়ে পড়ে তারও বাগান।’