“আমি রবি ঠাকুরের বউ : মৃণালিনীর লুকানো আত্মকথা” বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা: রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী। তার একটিই পরিচয়—তিনি বিশ্বকবির সহধর্মিণী। আর কোনও পরিচয় নেই! মাত্র আঠশ বছরের জীবন। তার মধ্যে উনিশ বছর কাটিয়ে ছিলেন ‘রবি ঠাকুরের বউ হয়ে। কেমন ছিল মৃণালিনীর জীবনের অন্তরমহল ? তিনি কি কখনও সত্যি-সত্যিই হতে পেরেছিলেন স্বামীর সহমর্মিণী, পেয়েছিলেন দাম্পত্য প্রেম ? এই নারীর দাম্পত্যজীবনের গহনে আজও পৌঁছোয়নি কোনও ডুবসাঁতারু-অনুসন্ধান। মৃণালিনী কি লিখেছিলেন তীর আত্মকথা ? সে কি লুকোনো ছিল এতকাল ?. রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলমে উন্মোচিত সেই মৰ্মভেদী কাহিনি।
রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪১। কর্মজীবন শুরু হয় স্কটিশ চার্চ কলেজে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপনায়। কিন্তু সৃজনের দুর্নিবার স্বপ্ন-আকাঙক্ষা অহর্নিশ যাঁকে উদ্বেল করেছে, তার কাছে ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠল অ্যাকাডেমিক পরিবহের শৈত্য ও শৃঙ্খল। দীর্ঘ ১৬ বছরের অধ্যাপনা ছেড়ে তাই আশির দশকে যােগ দিলেন সংবাদপত্রে। প্রথমে ‘আজকাল পত্রিকার সহ-সম্পাদক, পরে আনন্দবাজার পত্রিকার সহ-সম্পাদকের দায়িত্বে বর্তমানে সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার সহ-সম্পাদক। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে বেশ কিছু বই। সাহিত্য ও সাংবাদিকতার জন্য নানা-জগতে অনায়াস সঞ্চার তাকে প্রাণিত করেছে বিচিত্র বিষয়ের লেখায় ফিচার প্রবন্ধ উপন্যাস। সেইসব আশ্চর্য রচনা একাধারে যেমন তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে অন্য-উচ্চতায়, তেমনই সৃষ্টি করেছে নতুন বিতর্ক। তিনি ভালােবাসেন পড়তে, আড্ডা দিতে, বেড়াতে এবং অবশ্যই লিখতে। পত্র ভারতী প্রকাশিত বই—কাদম্বরীদেবীর সুইসাইড নােট, প্লাতা নদীর ধারে, রবি ও রাণুর আদরের দাগ, রঞ্জনব্যঞ্জন সেরা ১০১, পাঁচটি প্রেমের উপন্যাস, প্রিয়তমাসু প্রভৃতি।
Title :
আমি রবি ঠাকুরের বউ : মৃণালিনীর লুকানো আত্মকথা