আমি জুনাইদ জামশেদ বলছি
কতটা সুনাম সুখ্যাতি থাকলে একজন নওজোয়ান ইচ্ছা করলেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে পারে? একজন নওজোয়ানের কল্পনা করাও মুশকিল, তাই না? অথচ ঠিক ততটাই নাম-যশ-খ্যাতি জুনাইদ জামশেদ অর্জন করেছেন শোবিজের জগত থেকে। হ্যাঁ, ইনিই সেই জুনাইদ জামশেদ যিনি পাকিস্তানের প্রথম গায়ক ভোকালিস্ট হিসেবে দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। দেশীয় টপ চার্টে থাকা গানগুলো তাঁর দখলে; রক সংগীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন; দেশের বিমান বাহিনী, সেনা বাহিনীর রণ সঙ্গিতে কণ্ঠ দিয়েছেন। তাঁর এই কণ্ঠের শক্তিতে মাতিয়ে রেখেছেন পুরো বিশ্ব, সারা বিশ্ব সফর করেছেন গান গেয়ে। কোনও কিছুর অভাব ছিলনা তাঁর। যুবকরা স্বপ্ন দেখে এই জীবনের!
বইটি মূলত পাকিস্তানের তৎকালীন সংগীতশিল্পী, অনিয়মিত অভিনেতা, রেকর্ডিং শিল্পী, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব এবং ফ্যাশন ডিজাইনার জুনায়েদ জামশেদ এর আলোর পথে ফিরে আসার কাহিনী অবলম্বনে রচিত। তিনি পাকিস্তানের বিখ্যাত গায়ক হিসেবে পরিচিতি পান ১৯৮৭ সালের তার কণ্ঠে গাওয়া "দিল দিল পাকিস্তান দিল দিল পাকিস্তান এবং তুম মিল গায়া গায়া তুম মিল গায়া" গান গাওয়ার মাধ্যমে। তিনি সেনাবাহিনীর জন্য কসম উস ওয়াক্ত কি এবং বিমান বাহিনীর জন্য পালাটনা ঝাপাটনা নামে দুইটি গান নিবেদন করেন। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি কীভাবে পাল্টে গেলেন কিভাবে ফিরে এলেন ইসলামের শান্তির পদতলে? তার ছোট কালের এক দুষ্টু বন্ধুর বদলে যাওয়া কাহিনী শুনে তার পুরো জীবনের কিছু না পাওয়ার শূন্যতার এক অনুভূতি তাকে ভাবায়। তাই তিনি নিজেকে একটু হালকা করার জন্য তার বন্ধুর কল্যাণে ইজতেমায় সমবেত হন। এরপর থেকে শুরু হয় তার বদলে যাওয়ার আত্মকাহিনী। অবশেষে তিনি বুঝতে পারলেন, তার পুরো জীবন বৃথা বৃথা আর এও বুঝলেন যে তিনি ভুল পথে আছেন। তাই তিনি তাঁর দীর্ঘ সময় কর্মজীবন থেকে ইসলামের পদতলে ফিরে আসেন। এরপর থেকে তিনি ছিলেন একজন ধর্ম প্রচারক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন।একজন বে খেহালি থেকে ইসলামের পথে ফিরে আসার কাহিনী হচ্ছে আমি জুনায়েদ জামশেদ জামশেদ বলছি ইসলামের শান্তির পথে ফিরে আসার জন্য জুনায়েদ জামশেদের কাহিনীটি সকলের জানা উচিত এবং তিনি কিভাবে ফিরে এলেন ইসলামের পদতলে তা জানার জন্য জুনায়েদ জামশেদ বইটি পড়া উচিত।
আমি জুনাইদ জামশেদ বলছি বইটি পাকিস্তানের বিশ্বজয়ী সঙ্গীত শিল্পী "জুনাইদ জামশেদ"। প্রথম জীবনে পাকিস্তানী রেকর্ডিং, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, ফ্যাশন ডিজাইনার, অনিয়মিত অভিনেতা ও গায়ক-গীতিকার ছিলেন। ১৯৮৩ সাল থেকে ২০০৪ সালের এই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পপ-রক সঙ্গীত করেছেন। শেষ জীবনে একনিষ্ঠ ধর্মপ্রাণ মুসলমান, তাবলীগের মেহনতি সাথী, ইসলামী সংগীত শিল্পী এবং ধর্মপ্রচারক ছিলেন। জীবন পরিবর্তনের শুরু হয়েছিল তাবলীগ জামাতের বয়োজ্যেষ্ঠ এক ব্যক্তির কাছ থেকে দোয়া চাওয়ার মাধ্যমে। আল্লাহ তাআলা সেই অলীর দোয়া কবুল করেছিলেন। এরপর বন্ধুর আহ্বানে ইজতেমায় যাওয়ার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে জীবনে পরিবর্তন আসে। যেই গান গেয়ে তিনি কোটি কোটি টাকা উপার্জন করতেন, যন্ত্রসঙ্গীতের তালে তালে কণ্ঠ নাচিয়ে লক্ষ জনতার হৃদয়ে ঝড় তুলেতেন সব ছেড়ে দিয়ে বেছে নিলেন ইসলামী জীবন। বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদ ছেড়ে চলে এলেন তাবলীগের অতিসাধারণ শামিয়ানার নিচে। নাকচ করে দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গান গাওয়ার লোভনীয় প্রস্তাব। জামশেদ জীবনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন স্বয়ং তাঁর মুখ থেকে জানতে পড়ুন "আমি জুনাইদ জামশেদ" বলছি।