গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস তার পুরো জীবনে যে রকম বলিষ্ঠ উৎসাহ নিয়ে লিখে গেছেন, একইরকম উদ্দীপনা নিয়ে জনসম্মুখে বক্তব্যও প্রদান করে গেছেন। সেই প্রজ্ঞা এবং অনুধাবনগুলো এই প্রথমবারের মতো বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। সহপাঠীদের বিদায় অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে নোবেল পুরস্কার লাভ পর্যন্ত প্রধান প্রধান বক্তব্যগুলো “আমি এখানে বক্তৃতা দিতে আসিনি” গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই বক্তব্যের পরিচ্ছদগুলো তার জীবনের নানান সময়ে লেখা হয়েছে বলে বইটি পড়লে সময়ের সাথে সাথে এই প্রতিভাবান লেখকের উৎকর্ষ অনুধাবন করা যায়। এখানে সংকলিত প্রতিটি বক্তব্যই এই বিখ্যাত লেখকের বিশ্বাস আর ধারণার অন্তর্দৃষ্টির ছবি তুলে ধরে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গার্সিয়া মার্কেসের নির্ভুল কণ্ঠস্বর সংরক্ষণ করে। যে কখনও কলেরার সময়কার প্রেম পড়েছে বা মাকোন্দোর প্রেমে পড়েছে তার জন্য “আমি এখানে বক্তৃতা দিতে আসিনি” অবশ্য পাঠ্য।
সাহিত্যে অপরিসীম অবদান এবং একই সাথে লাতিন আমেরিকার স্বকীয় সংস্কৃতির অত্যুজ্জ্বল প্রসার এবং সৃষ্টিশীল শক্তির বরণীয় স্মৃতিস্মারক আমি এখানে বক্তৃতা দিতে আসিনি।
ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর
মার্কেস ভবিষ্যৎ মাথায় রেখে কথা বলেন, তার ভালোবাসাই হচ্ছে ভাষা।
দা ইন্ডিপেনডেন্ট
ঝরঝরে বক্তব্যের সংকলনটি এই কলাম্বিয় বরেণ্য লেখকের দু’টি মূল অভিপ্রায়কে প্রকাশ করে... এক, লাতিন আমেরিকার প্রাণশক্তিকে চিহ্নিত করা, তাকে সম্মান দেয়া এবং প্রতিরক্ষা করা। দুই, কল্পনা শক্তির উপর স্থায়ী বিশ্বাস প্রদর্শন করা। কলমে তিনি যেমন তর্কপ্রিয় এবং কাব্যিক, মৌখিক বক্তব্যেও ঠিক তেমন।
আর্ট রিভিউ।
আমি এখানে বক্তৃতা দিতে আসিনি একই সাথে প্রচলিত রসবোধ এবং বলিষ্ঠ ইন্দ্রিয়পরায়ণতা প্রতিফলিত করে। বইটি যতটাই কল্পনা ততটাই মরীচিকা।
আইরিশ টাইমস
গার্সিয়া মার্কেসের দীর্ঘদিনের অনুবাদক গ্রসম্যান কর্তৃক অনূদিত এই বক্তব্যগুলো এই ঔপন্যাসিকের আগ্রহ-অভিপ্রায়, মেধা এবং পরিষ্কার নীতিবাক্যের মাধ্যমে গল্প বলার ধরণকে ধারণ করেছে।
পাবলিশার্স উইকলি