ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ঢাকার নামের ইট-ইমারতের এই মহানগরীর কোনো এক নিভৃত কোণে, রোদ্দুর এর আলোর ঝলমল তরুন ভালোবেসে ফেলেছিলেন মেঘবতী নামের এক বৃষ্টিকণাকে। তথ্যপ্রযুক্তি নামে আলাদীনের দৈত্যের ঘাড়ে চেপে নয়। ওরা একজন আরেকজনবকে কাছে পেতে চেয়েছিলো অনুভূতি নামের অদৃশ্য সংযোগ দিয়ে। আর ওদের এই অদৃশ্য কথামালাগুলোর নিতান্ত নীরব অনুলিপিকারক ছিলাম আমি। অঙুলি থেকে অন্তরে। অতপর বহুদিন তা জমা রাখ ছিলো আমার মস্তিষ্কের নিউরন হার্ডড্রাইভে। মেঘবতী এখন আকাশে উড়ে বেড়ায় । রোদ্দুর ব্যস্ত জীবন নামক আলো বিচ্ছুরণে। কিন্তু আমি কি পারি ওদের এই বলা না বলা কথাগুলোকে ছুড়ে দিতে কোনো আস্তাকুঁড়ে ? হয়তো চেয়েছিলাম একবার। কিন্তু কখনও কখনও জলটলমল রৌদ্র ওঠে আমার জানালায়। কখনও কখনও কাজলকালো মেঘে এসে জড়িয়ে ধরে সেই কান্না ভরা আলোকে। আর আমায় বারবার মনে করিয়ে দেয়। ওরা আসছে। এইতো আসছে। এই কর্মব্যস্ত কোলাহলমুখর মহানগরীর কোন নিভৃত নিকুঞ্জে। এই সাজাতে চাইছে বৃষ্টির ফুলে ফুলে।
সূচিপত্র * অসমাপ্ত লেখালেখি * আ ভয়েস ফ্রম গুয়েন্তেনামা * মানুষ দেবতা * কেনা-কাটা * তোমাকে আসতেই হবে * ইচ্ছামৃত্যু * প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য * আধুনিক হিসাববিজ্ঞান তত্ত্ব * শুধু তোমার জন্য * দিনপঞ্জি * নীহারিকা * প্রাগৈতিহাসিক পৌরিাণিকতা * স্বভাব কবি * অভিধান * নি:সঙ্গতা মানে নিজেকে চেনা * স্বর্গদেবী, মানবী নও * মায়া-জোছনার গল্প * ভালোবাসা-বাসি * নেশা নেশা সারাবেলা * শয্যা সাজ * ভালোবাসা হত্যার বিচার চাই * স্বৈরতান্ত্রিক গণতন্ত্র * মনটা বাড়িয়ে দাও * সমুদ্রের মতো খিদে * অধরা সুধা * একটি গল্পের শুরু * অনুকাব্য * তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে * আলোর বৃষ্টি * আত্নপক্ষ সমর্থন * এখানে হারাতে মানা * পরাবাস্তবতা ভাইরাস * পরিচয় * উৎসর্গ * আপনি যে নম্বরে * আমি তুমি সে * ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিব * ওষুধ-পত্র * অঙ্গ বন্দনা * খেতাবহীন যোদ্ধা * নিসর্গ মানব * প্রলোভন * তুমি একটা আস্ত উপন্যাস * জানতাম! * নিষেধাজ্ঞা * প্রাকৃতিক বৈষম্যতা * প্রাপ্তি ও পূর্ণতা * অন্যরকম একদিন * রোদেলা বৃষ্টি * আত্নসমর্পন * একটি রেলস্টেশন ভ্রমণকাহিনী * না বিদায়ের আবেদন * উপহার বিনিময় * হাসি-কান্না * নিমগ্নতা * কম্পাস * চাহিদারা * সম্ভব-অসম্ভব * জরুরি ঘোষণা * বিমলানন্দ * গণতন্ত্র * সাধারণ নির্বাচন * আমন্ত্রণপত্র * মেঘবতী-রোদ্দুরের কথামালা * মেঘবতী-রোদ্দুরের কথামালা * আমি আজ সাজাবো তোমায়......
তৌহিদুর রহমান
জন্ম ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে। বাবা এম.এ. মজিদ সরকার, মা লায়লা মজিদ। স্থায়ী নিবাস কুড়িগ্রাম। চার ভাই-বােনের মধ্যে সবার ছােট তিনি। চাকরিজীবী বাবার বদলির সুবাদে দশ স্কুল, তিন কলেজ আর আট জেলায় শিক্ষাজীবন। পিএইচডি হিসাববিজ্ঞানে। মেধাবী ছাত্র হিসেবে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন প্রতিটি বিদ্যায়তনে। পেশায় শিক্ষক। বিচরণ লেখক হিসেবে। স্বপ্ন দেখেন দেশে একটি স্বতন্ত্র সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। কুড়িগ্রাম জেলার নিভৃত গ্রাম মধুপুরের আপন আঙিনায় তৌহিদুর রহমান সাহিত্য পরিষদ গড়বার।
লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে । উপন্যাস, ছােটগল্প, কবিতা, ছড়া, ছাপা হতাে বিভিন্ন স্থানীয়-জাতীয় দৈনিকে। লেখক হিসেবে প্রাপ্ত পদকগুলাের মধ্যে বনলতা সাহিত্য পদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, দেওয়ান হাছনরাজা, মহাকবি কায়কোবাদ স্বর্ণপদক উল্লেখ্য। উল্লেখযােগ্য প্রাপ্ত সম্মাননা: মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড, বামসাফে, ইউনাইটেড টেলিফিল্ম, স্বাধীনতা সংসদ, মাদার তেরেসা রিসার্চ সেন্টার।
উপন্যাসে স্বাচ্ছন্দ্যবােধ করলেও কবিতা, ছােটগল্প, শিশু-কিশাের সাহিত্য সবদিকে তাঁর সমান বিচরণ।