কতোটা স্বাধীনতা একজন লেখকের দরকার, এ –প্রশ্ন পুরনো কিন্তু বিতর্কটা সজীব সর্বদাই; আর এ বিষয়ে যখন হুমায়ুন আজাদ কথা বলেন তখন তা হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও প্রত্যয়লগ্ন। শুধু তাই নয় তিনি বলেছেন তাঁর প্রিয় বাঙলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যাতে শঙ্কা আর শঙ্কা প্রকাশিত হয়েছে, তাকিয়েছেন তালেবানদের উৎসের দিকে, বলেছেন সরকারি সন্ত্রাস আর জাতীয়তাবাদী নির্যাতনের কথা। তাঁর উপর নেমে আসা বর্বরোচিত হামলা এবং মুমূর্ষ অবস্থা থেকে তাঁর বেঁচে ওঠা যা একটা প্রতীক হয়ে উঠেছে, বর্ণনা করেছেন তাঁর এই নতুন জন্মের কথা; এই দ্বিতীয় জন্ম একটি অভূতপূর্ব অধ্যায় অনালোকিত পর্ব যা বিবৃত হয়েছে এই গ্রন্থে; এটি তাঁর সর্বশেষ গ্রন্থ যেখানে অকপটে তিনি বলেছেন তাঁর স্বপন সম্ভাবনা আর দর্শন; তাঁর পাঠকঅনুরাগীদের জন্য আমার নতুন জন্ম এক বিশেষ সংগ্রহ।
হুমায়ুন আজাদ
হুমায়ুন আজাদ (২৮ এপ্রিল ১৯৪৭ - ১১ আগস্ট ২০০৪; ১৪ বৈশাখ ১৩৫৪ - ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন একজন বাংলাদেশী কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, সমালোচক, গবেষক, ভাষাবিজ্ঞানী, কিশোর সাহিত্যিক এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার। তিনি বাংলাদেশের প্রধান প্রথাবিরোধী এবং বহুমাত্রিক লেখক যিনি ধর্ম, মৌলবাদ, প্রতিষ্ঠান- ও সংস্কারবিরোধিতা, নিরাবরণ যৌনতা, নারীবাদ ও রাজনীতি বিষয়ে নির্মম সমালোচনামূলক বক্তব্যের জন্য ১৯৮০-র দশক থেকে ব্যাপক পাঠকগোষ্ঠীর দৃষ্টি আর্কষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
২০০২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জার্মান কবি হাইনরিখ হাইনের উপর কাজ করার জন্য জার্মান সরকারের নিকট একটি বৃত্তির আবেদন করেছিলেন। ২০০৪-এর ৭ আগস্ট জার্মান কবি হাইনরিখ হাইনের ওপর গবেষণা বৃত্তি নিয়ে জার্মানি যান।
২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ১১ আগস্ট রাতে একটি পার্টি থেকে প্রত্যাবর্তনের পর আবাসস্থলে আকস্মিকভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন হুমায়ুন আজাদ। ১২ আগস্ট ফ্ল্যাটের নিজ কক্ষে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।