গান কীভাবে সন্মোহন তৈরি করে ? কীভাবে মানুষকে এবং নিজেকে সন্মোহন করা যায় ?
আপনার নব্বই ভাগ চিন্তা আসে অবচেতন মন থেকে। তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে আপনি আপনার ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
অবচেতন মনকে বশ করতে চাইলে কিংবা আপনি যদি মনস্তাত্ত্বিক উপায়ে নিজের স্বপ্নকে বিশ্বাস করতে চান তাহলে এই বইটি আপনার জন্য।
উদাহারন হিসেবে ব্যবহার করেছি নিজের জীবনকে।
পৃথিবীর সব অনুভূতিকে একটা চক্রে বিচার করা যায়। কীভাবে চিন্তা থেকে জন্ম নেয় অনুভুতি। অনুভুতি থেকে ইচ্ছা। ইচ্ছা থেকে আসে সিদ্ধান্ত। তারপর আচরণ। সেখান থেকে তৈরি হয় সেকেন্ড রিফ্লেকশন।নতুন আরেকটি চিন্তা। আরেকটি অনুভুতি।
যেন অনিশ্চয়তা আমাকে দ্বিতীয়বার অনুমান করায়। যে তার প্রথম অনুমান ভুলে যায়, কিন্তু দ্বিতীয় অনুমানটি এসেছে সেখান থেকে।
জুনায়েদ ইভান
১৯৮৮ সালের আগস্ট মাসে আমার জন্ম। আমার জন্ম হয়েছিল ভোরবেলায়। তখন চারদিক থেকে আজানের শব্দ ভেসে আসছে। এর ভেতরে রোগা-লিকলিকে একটা শিশু হাত-পা নাড়িয়ে জানান দিচ্ছে- 'আমি এসেছি, আমার কোনো অনুলিপি নেই'। আমি এমবিএ করেছি একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। একটা রক ব্যান্ডে গান গাই। ফ্যামিলি বলতে আব্বু, আম্মু আর ছোটো দুই বোন- ইশিতা, অর্ণিমা। বর্তমানে দুই বোন আমেরিকায় পড়ালেখা করছে। একবার এক বইয়ের মলাটে লেখক পরিচিতি বয়ানে একটা লেখা পড়েছিলাম, অনেকটা এ-রকম: লেখকের পরিচয় তার গ্রামের বাড়ির ঠিকানায় থাকে না। লেখকের পরিচয় বইয়ের প্রত্যেকটি পৃষ্ঠায়, শব্দে-শব্দে, অক্ষরের ভেতরে মিশে থাকে। আমার কাছেও তাই মনে হয়। বইয়ের ভেতরে যে চরিত্রগুলো ভিন্ন ভিন্ন মতে একমত হন, সেখানে কোনো এক ফাঁকে লেখক লুকায়িত। লেখক এবং তাঁর চরিত্র পৃথক সত্তা, তবু কোথাও-না-কোথাও তাদের মধ্যে এক ধরনের অন্ত্যমিল খুঁজে পাওয়া যাবে।