এ দেশের যাঁরা গুণীজন ও খ্যাতিমান তাঁদের ছোটবেলাটা কেমন ছিল এ কথা কার না জানতে ইচ্ছে করে! আর তিনি যদি হন সদ্যপ্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী তাহলে আগ্রহটা চেপে যাওয়া মুশকিল বৈকি। সদাহাস্যমুখর ও সর্বসাধারণের প্রিয় এই মানুষটির ছোটবেলা কেমন ছিল তা নিজেই তিনি একটুখানি মেলে ধরতে চেয়েছিলেন জীবনাবসানের অল্পকাল আগে। কেন যেন উৎসুক ছিলেন হারিয়ে যাওয়া শৈশবের দিনগুলোতে আবার অবগাহনে মেতে উঠতে। পাঠকের মনে হতে পারে কী-এক অদ্ভুত যোগ ছিল সাম্প্রতিক এই স্মৃতিচারণ ও সম্প্রতি তাঁর প্রয়াণের! আমার ছোটবেলা পড়তে পড়তে কবীর চৌধুরীর শৈশব-কৈশোরের অনেক জানা ও অজানা কথার সাথে পরিচিত হব, দেখব এক ছ্ট্টো কবীর চৌধুরীকে।
কবীর চৌধুরী
কবীর চৌধুরী (১৯২৩-২০১২) একজন বরেণ্য সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ, যিনি ১৯২৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা ও সার্দান ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। দীর্ঘকাল ধরে অধ্যাপনা ও লেখালেখির সাথে যুক্ত ছিলেন এবং বিশ্বসাহিত্য থেকে জীবনঘনিষ্ঠ উপাদান আমাদের সাহিত্যে সফলভাবে এনেছেন। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। তাঁর লেখার মূল ক্ষেত্র ছিল বিশ্বনাটক, শিল্পকলা, সাহিত্য সমালোচনা এবং অনুবাদ। তিনি শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন এবং দেশের প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মের আদর্শ হিসেবে পরিচিত।