ভালো লাগা যখন ভালোবাসায় রূপ নেয়, মানুষটা ততই আপন হয়ে ওঠে। প্রতি মুহূর্তে তার কথা স্মরণ হতে থাকে। তার সান্নিধ্য থেকে চব্বিশ ঘন্টা দূরে থাকা—কয়েক বছরের মতো দীর্ঘ লাগে। তার সাথে কথা বলতে না পারার ব্যথা বুকে ছুরি মারার চেয়েও তীব্র হয়ে ওঠে।
এ হচ্ছে এক সৃষ্টির প্রতি আরেক সৃষ্টির ভালোবাসা। আর ভালোবাসা নামক অনুভূতির স্রষ্টা তো আল্লাহ তা’আলা-ই। কিন্তু আমরা কি আল্লাহকে এই পরিমাণ ভালোবাসতে পেরেছি? কখনো কি এভাবে আল্লাহকে মিস করেছি? সত্যিই কি আমরা আল্লাহকেই সর্বাত্মক ভালোবাসি?
.
নিঃসন্দেহে আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তার সাথে তিনি ব্যতিত সকল কিছুর দূরত্ব তৈরি করে দেন। ফলে তিনি বান্দার আপন হয়ে যান। সে তাঁকে মিস করে প্রতি ক্ষণেক্ষণে। মন তাঁর সাথেই জুড়ে থাকে। সেই ভালবাসার গল্পই এই বইতে সংকলন করা হয়েছে। রব এবং আব্দ-এর মাঝে ভালোবাসা। যে ভালবাসা দেখা যায় না, কিন্তু অনুভব করা যায়। যে ভালবাসার তাগিদে বান্দা আল্লাহর জন্য নিজের অন্তরকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না। ভালোবাসার তীব্রতা তাকে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে দূরে থাকে; কারণ, সে চায় না প্রিয় রব তার প্রতি অসন্তুষ্ট হোক। রবের সন্তুষ্টি অর্জনে সে নিজের চাহিদাই নয়, বরং পুরো দুনিয়াকেও বিক্রয় করে দেয়। সেই ভালবাসার বয়ান এতে ফুটে ওঠেছে গল্প, কখনো উপদেশ, কখনো-বা চিঠির ভাষায়।
.
ড. আরিফীর অন্তর জাগরণী বক্তব্য, ধারালো কলমের সাক্ষ্য ইতিমধ্যে তার অনেক গ্রন্থেই মিলেছে। এই গ্রন্থটিও ব্যতিক্রম নয় বলে আমাদের বিশ্বাস। পাঠক এই বই পড়ে কেবল আল্লাহর ভালোবাসাই শিখবে না, বরং ভালবাসার তাগিদের নিজেকে পাল্টে ফেলারও এক দৃঢ় উদ্দীপনা জাগ্রত হবে পাঠকমনে ইন শা আল্লাহ্।