কুরআন-হাদীসের মর্মানুসারে মুসলিমরা পরস্পর ভাই ভাই। তাদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক হবে ভালোবাসা ও সহযোগিতার। এই ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের মূলভিত্তি হলো ঈমান। যে কেউ ঈমান আনবে, সে এই মহান ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হবে; চাই সে যেকোনো বর্ণেরই হোক কিংবা যেকোনো অঞ্চলেরই হোক অথবা যেকোনো ভাষাভাষী হোক। সকল মত ও বর্ণ-নির্বিশেষে মুসলিম জাতি একতাবদ্ধ হয়ে পুরো বিশ্বে নিজেদের মিশন পরিচালনা করবে—এটিই ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
. ইসলামের ঐক্যের চিরন্তন শিক্ষাকে মজবুতভাবে ধারণ করেই মুসলমানরা দুনিয়ার বুকে অসাধ্য সাধন করেছে। তারা অতি অল্প সময়ের মধ্যে দুনিয়ার বুকে সভ্যতা ও সংস্কৃতির এক নবযুগের দ্বারোদঘাটন করেছে। কিন্তু যখনই মুসলমানরা ঐক্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অনৈক্য ও দলাদলির পথে পা বাড়িয়েছে; গোষ্ঠীগত, জাতিগত, মতাদর্শ ও মত-পথের বিভাজন-দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে ইসলামের মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তখনই তারা সব গৌরব হারিয়ে একটি হতভাগা হতোদ্যম জাতিতে পরিণত হয়েছে। তারা সভ্যতা-সংস্কৃতিতে পিছিয়ে পড়েছে।
. আলিমগণই উম্মাহর পথপ্রদর্শক। অতএব, উম্মাহর কাক্সিক্ষত ঐক্য সাধনে আলিমগণই অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন—এটাই প্রত্যাশিত। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আলিম সমাজের সেই বহুল প্রতীক্ষিত ঐক্যের রূপরেখা অঙ্কন এবং ঐক্যের পথে যাবতীয় অন্তরায় দূরীকরণে বইটি একটি মাইলফলক বিবেচিত হবে বলে আমরা আশা রাখি, ইনশাআল্লাহ।
ড. আহমদ আলী
Title :
আলিম সমাজের ঐক্য অন্তরায় ও প্রক্রিয়া : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ (হার্ডকভার)