কথায় আছে, এই আজব দেশে নাকি যে লোক জীবনে কখনো নিজের হাতে এক গ্লাস পানিও ঢেলে খায়নি, সেও জানে ফেসবুকে কীভাবে ট্রোলপোস্ট করতে হয় জীবনের প্রথম ভৌতিক অনুষ্ঠানেই ট্রোলিংএর শিকার হওয়া সাংবাদিক রাদিবের চেয়ে কথাটা ভালো আর কে জানে? সমস্ত অপমান ভুলে নতুন করে শুরু করতে চাইলো সে, আর দশজন সাংবাদিকের মতোই জীবন কাটিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। কিন্তু ওর কপালেই সম্ভবত লেখা ছিলো ভিন্ন কিছু।
ভাগ্যের মারপ্যাঁচে আবারো ঐ অনুষ্ঠানের সাথে যোগ দিতে বাধ্য হলো রাদিব। খুব শীঘ্রই জানতে পারলো, দ্বিতীয় সিজন শুরু হবে এমন এক অঞ্চলের ঘটনার মাধ্যমে যেখানে গত তিন মাস ধরে রাতের বেলা হানা দিচ্ছে রহস্যময় এক আলো। জলাভূমির উপর জ্বলতে থাকা ঐ নীলাভ অগ্নিশিখা মানুষকে ডাকে ফিসফিস করে, আহ্বান করে ওকে অনুসরণ করার জন্য। আর একবার যে ওর ডাকে সাড়া দেয়, সে আর কখনো ফিরে আসে না।
রাদিব বুঝতে পারে, এতগুলো বছর যে অন্ধকার কূপ থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছে, আবারো তার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সে।
কারণ ও ফিরে এসেছে...যার হাতে সৃষ্টি হয়েছিলো তার সেই গহীন কূপ...
আশরাফুল সুমন
আশরাফুল সুমনের জন্ম হয়েছিল ১৯৯০ সালে, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের তীর্থস্থান চট্টগ্রামে।। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নের উপর স্নাতকআর ভৌত রসায়ন শাখা থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন। করার পর পুরােপুরিভাবে লেখালেখির দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। তার লেখালেখির গল্পটা শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে, স্রেফ শখের বশে অনলাইনে গল্প লেখার মাধ্যমে।
প্রথম একক উপন্যাস ড্রাগােমির প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৬ সালের বইমেলায়। কুয়াশিয়া: স্পেলমেকারের অনুসন্ধান তার দ্বিতীয় একক উপন্যাস, যেটা আসলে কুয়াশিয়া পেন্টালােজির প্রথম বই।
বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতেও গল্প লেখার ঝোঁক আছে তার। অবসর সময় কাটানাের প্রিয় মাধ্যম হলাে বই পড়া, মুভি দেখা এবং ভ্রমণ করা।