এম আর মাহবুব ১৫ অক্টোবর ১৯৬৯)এর পিতৃভূমি নরসিংদী জেলার মনােহরদী উপজেলার চর। আহম্মদপুরে। ব্যবস্থাপনা শাস্ত্রে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর। কর্মজীবনের শুরুটা, সাংবাদিকতার মাধ্যমে। কিছুদিন অধ্যাপনার কাজে নিয়ােজিত ছিলেন। সাহিত্য-সংস্কৃতির আত্মগত প্রাণ। পূর্ব বাংলার রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলন নিয়ে শেকড়সন্ধানী গবেষণায় তন্নিষ্ঠ। ইতােমধ্যে ভাষাসৈনিকদের জীবনী ও ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস বিষয়ক ১৬ টি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তার। একই বিষয় নিয়ে প্রকাশাপেক্ষায় আছে আরও বেশ কিছু গ্রন্থ। গ্রন্থসমুদয় ভাষা-আন্দোলনের নানা অজানা তথ্য মেলে ধরেছে: ফুটে উঠেছে অনেক অশ্রুত দিক || ভাষা-আন্দোলন নিয়ে বৃহৎ ক্যানভাসে রচিত গ্রন্থে অসম্পর্শিত কথা তিনি সংগ্রহ করেছেন এবং করছেন অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে সংগ্রহ করেছেন ভাষা আন্দোলনের অনেক দুর্লভ দলিল, অপ্রকাশিত ছবি ও স্মৃতি স্মারক উদ্ধার করেছেন শত ভাষাসংগ্রামীদের গৌরবদীপ্ত অবদানের স্মৃতিকথা । ভাষা-আন্দোলন স্মৃতি সংরক্ষণ আন্দোলনেও তিনি একজন একনিষ্ঠ কর্মী। শুরুটা ১৯৮৭ সাল থেকে। সেই থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত দুই যুগ ধরে তিনি নিজেকে নিয়ােজিত রেখেছেন এই মহান কর্মযজ্ঞে। আজও পড়ছেন, লিখছেন, শিখছেন। এ কাজের স্বীকতিস্বরূপ ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় । কর্মসূত্রে ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক। বাংলা একাডেমীর সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন সমাজকল্যাণ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত।