“আল-মুকাদ্দিমা ১ম খণ্ড” বইয়ের ভূমিকা ইতিহাসের বিষয় গুরুত্ব, তাঁর বিভিন্ন পদ্ধতিগত বিশ্লেষণ এবং ইতিহাসবিদদের সম্ভাব্য ত্রুটি-বিচ্যুতির বিবরণ ও কারণ, বনি ইসরাইলের সৈন্যসংখ্যা, তুব্বা রাজন্যবর্গের দিগ্বিজয়, ইরাম নগরীরর কাহিনী, বরমেকীদের পতন, আকসামের মধ্যপান, মামুনের প্রেম, উবায়দী বংশধারা, ইনরিসী বংশধারা, আল-মেহেদীর বংশধারা, ঐতিহাসিকদের দায়িত্ব, শিক্ষকতা প্রসঙ্গ, বিচারক প্রসঙ্গ, ভুল বর্ণনা পদ্ধতি, প্রতিবর্ণীকরণ সমস্যা, প্রাথমিক বক্তব্য। “আল-মুকাদ্দিমা ১ম খণ্ড” বইয়ের সূচিপত্র: *আল্লামা ইবনে খালদুন *আল-মুকাদ্দিমা : আলোচনা *অনুবাদ প্রসঙ্গ *প্রান্ত ক্রুচি *ইদিগাম প্রসঙ্গ *উৎসর্গ
ইবনে খালদুন
গোলাম সামদানী কোরায়শী
গোলাম সামদানী কোরায়শী (৫ এপ্রিল ১৯৩০ – ১১ অক্টোবর ১৯৯১) একজন প্রখ্যাত লেখক, গবেষক, এবং শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলা একাডেমিতে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সঙ্গে বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধানের সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। প্রায় সাত বছর বাংলা একাডেমিতে কাজ করার পর ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন, এবং আমৃত্যু শিক্ষকতা পেশাতেই নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে মুমতাজুল মুহাদ্দেসীন পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে বিএ অনার্স ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে আত্মজীবনী *সিন্ধুর এক বিন্দু*, বিভিন্ন অনুবাদ যেমন *ইবনে খলদুনের আল মুকাদ্দিমা* এবং *জিয়াউদ্দিন বারাণির তারিখ-ই-ফিরুজশাহী*, প্রবন্ধসমূহ যেমন *আরবি সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস*, এবং উপন্যাস যেমন *স্বর্গীয় অশ্রু*, *মহাপ্লাবন*, *পুত্রোৎসর্গ*, *চন্দ্রাতপ*। গোলাম সামদানী কোরায়শী ময়মনসিংহে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।