কোন রকম রাজনৈতিক ও গােষ্ঠীগত আরােপিত পৃষ্ঠপােষকতা ছাড়াই, শুধুমাত্র নিরন্তর পরিশ্রমের কারণে স্বার্থান্ধ রাজধানীতে টিকে গেছেন আমিরুল মােমেনীন মানিক। তার কোন পলিটিক্যাল উইশ নেই। আছে সােশ্যাল কমিটমেন্ট। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা-সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের আদর্শকে তিনি সবসময় সামনে রাখেন। মানিক, সাংবাদিকতা-সঙ্গীত-সাহিত্যের মধ্য দিয়ে মূল্যবােধসম্পন্ন ও যুক্তিনির্ভর সমাজের স্বপ্ন দেখেন । গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে তাঁর ইউনিক দিক হচ্ছে-এক সঙ্গে তিনি মেঠো রিপাের্টিং, জীবনবাদী গান, টক-শাে সঞ্চালনা, খবরপাঠ ও গদ্য লেখেন। দেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আমিরুল মােমেনীন মানিককে আখ্যা দেয়া হয় ‘শুদ্ধ উচ্চারণের সংবাদকর্মী’ হিসেবে। টিভি সাংবাদিকতায় মানিকের হাতেখড়ি ভারতের এনডিটিভির নির্বাহী প্রযােজক অভিজিৎ দাশগুপ্তের কাছে । গানের ক্ষেত্রে তিনি ক্ষুদ্র হলেও আলাদা ধারা তৈরী করেছেন। মানিক এর নাম দিয়েছেন মানুষমুখী গান'। অবশ্য প্রচলিত গণমাধ্যম তাঁকে বলে 'ব্যতিক্রমী গানের শিল্পী। অবাক শহরে ও আয় ভাের তার বিপুল আলােচিত এ্যালবাম। ছােটবেলায় কবিতার নামে ছাইপাশ লিখতেন। এখন সচেতনভাবে এটা এড়িয়ে চলেন। সােজাসাপ্টা গদ্য লেখেন। সমাজের অসঙ্গতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তাঁর লেখা ।
Title :
আল মাহমুদ ও হুমায়ূন আহমেদের জরুরি বৈঠক (হার্ডকভার)