আধুনিক বাংলা কবিতার বিস্তৃত ভুবনে এক স্পর্ধিত নাম আল মাহমুদ। আল মাহমুদ আজ কিংবদিন্ততুল্য এক কবি। মৌলিক কবিপ্রতিভার অধিকারী এই কবি ত্রিশোত্তর বাংলা কবিদের মধ্যে শামসুর রাহমানের পাশাপাশি অব্যশ-উচ্চারিত। কেবল উচ্চারিত নয়; প্রতিভায় ও সৃজনশীলতায় একই সমান্তরালে। নারী, প্রেম ও যৌনতা আল মাহমুদের কবিতায় এক অভিন্ন সুরে উপস্থাপিত। লোকজ বিষয়-আশয়কে কীভাবে আধুনিক মাত্রা ও আয়তন দেয়া যায়, তাঁর কবিতার জন্যে অন্তর্জগৎ, কল্পনার জগৎকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। বস্তুতই আল মাহমুদের কবিতা একই সঙ্গে নারী ও স্বদেশের এক অনুপম সৌকর্যের মিলনও। সাম্যবাদ আল মাহমুদের কবিতায় এসেছে মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্যে নয়; বরং মানুষ ও মানবিকতার আহ্বান নিয়ে। আল মাহমুদের কবিতার ‘ভিতর-বাহির’ নিয়ে কবি, প্রাবন্ধি-গবেষক গাউসুর রহমান লিখেছেন আল মাহমুদের কবিতার বিষয়-আশয় যা আল মাহমুদের কাব্য পাঠের ভূমিকা হিসেবে চিহ্ণিত হতে পারে। এই গ্রন্থটি আল মাহমুদের কাব্যগবেষণার ক্ষেত্রেও পথিকৃতের ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশাবাদী। গাউসুর রহমান তাঁর সৃজনশীলতা ও মননশীলতা দিয়ে আল মাহমুদের কবিতাকে বিশ্লেষণ করেছেন তুখোড় বিশ্লেষণী ক্ষমতায়, অব্যাহত অনুসন্ধানে। মেধাবী এই গবেষক আল মাহমুদ চর্চার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছেন।
গাউসুর রহমান
কবি, প্রাবন্ধিক-গবেষক, কলামিস্ট, কথাসাহিত্যিক হিসেবে গাউসুর রহমান স্ব-চিহ্নিত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। কবি হিসেবে তিনি নিজস্ব চড়বঃরপ ফরপঃরড়হ অর্জনের জন্যে সচেষ্ট। নতুন কণ্ঠস্বরের অধিকারী এই কবি প্রাবন্ধিক-গবেষক হিসেবে তুখোড় মেধাবী; তাঁর বিশ্লেষণ অনবদ্য। নজরুল, জসীমউদ্দীন, ফররুখ আহমদ, শামসুর রাহমান সম্পর্কে তাঁর নিজস্ব গ্রন্থ রয়েছে। নজরুল সম্পর্কে তাঁর গ্রন্থের সংখ্যা চার। আরও দুটি প্রকাশের অপেক্ষায়। রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দ সম্পর্কে দুটি গ্রন্থ যন্ত্রস্থ। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা বিশ। অ্যাডর্ন প্রকাশিত তাঁর উল্লেখযোগ্য দুটি গ্রন্থ হল, জাতিসত্তার কবি : মুহম্মদ নূরুল হুদা ও কবিতার শামসুর রাহমান। অধ্যাপনায় নিয়োজিত গাউসুর রহমান বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সসহ এমএ; পরবর্তী সময়ে তিনি এলএলবি ডিগ্রিও অর্জন করেছেন। পিতা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান ও সুগৃহিণী মা হোসনে আরা বেগমের জ্যেষ্ঠপুত্র গাউসুর রহমান। স্ত্রী কামরুন নাহার ও পুত্র সুহৃদ রহমানকে নিয়ে ময়মনসিংহ শহরে তিনি বসবাস করেন।