ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ আহসান হাবীব মূলত কার্টুনিস্ট, রম্য লাইনে লেখালেখি করতে বেশি পছন্দ করেন।তার সেকেন্ড চয়েজ ভূত.....। তিনি ঠাট্টা করে বলেন ‘ছোট বেলায় একটা বাচ্চা ভূত আমার পিছু নিয়েছিল সেটা মনে হয় বড় হয়ে এখনো মাঝে মাঝে আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে, সে কারণেই মাঝে মাঝে ভূতের গল্প লেখার এই ব্যর্থ প্রয়াস!’ তবে একটু ভূতুড়ের গল্পগুলোর প্রত্যেকটিই আলাদা করে কখনো ভয়ঙ্গর কখনো আতঙ্কিত হওয়ার মত কখনো বা মজার......।
ভূমিকা এ বইয়ের লেখাগুলি বেশীর ভাগই ভূতুড়ে। তবে পুরোপুরি ভূতুড়ে বলা যাবে না। কিঞ্চিৎ ভূতুড়ে, একটু রহস্য, একটু ফ্যান্টাসী......। একটু গল্প (দ্বিতীয় পক্ষ) গত মেলায় আমার ‘ভূত সমগ্রে’ ভুলক্রমে অর্ধেক ছাপা হয়েছিল সেটা এখানে পুরোটা ছাপা হয়েছে। বাকি সবই নতুন লেখা। এই আরকি.....! সবাইকে একুশে বই বেলার শুভেচ্ছা আহসান হাবীব পল্পবী, ঢাকা।
আহসান হাবীবের জন্ম ১৫ নভেম্বর ১৯৫৭, সিলেট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগােলে মাস্টার্স করে জীবনের প্রথম চাকরি ব্যাংকে। তারপর হঠাৎ পেশা বদল। পেশা হিসেবে বেছে নিলেন কার্টুন। দেশের একমাত্র স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’-এর সম্পাদক ও প্রকাশক... ত্রিশ বছর ধরে। ম্যাগাজিন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে যেন তার ভালাে লাগে। অনেক পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি পত্রিকা হল- কিশাের পত্রিকা ‘দুরন্ত’ ও সায়েন্স ফিকশন ম্যাগাজিন ‘ট্রাভেল এন্ড ফ্যাশন। কার্টুন আঁকার পাশাপাশি জোকস তাঁর প্রিয় বিষয়। বিষয়টিকে তিনি প্রায় কুটিরশিল্প পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বিখ্যাত সেই স্প্যানিস দার্শনিকের মতাে তিনিও মনে করেন যে দিনটা হাসা গেল না সেই দিনটা নিদারুণ ভাবেই ব্যর্থ!'
জোকস ছাড়া রম্য রচনায়ও তিনি পারদর্শী। এই লেখকের বর্তমান বয়স ৫৫। শিক্ষিকা স্ত্রী আফরােজা আমিন আর একমাত্র মেয়ে শবনম আহসানকে নিয়ে তার নিজস্ব জগৎ