গল্পকার গল্প সৃষ্টি করেন। ঘটনার বৈচিত্র্য প্রবাহে গল্পের নানা মত ও পথ তৈরী করেন। তার নমুনা লক্ষ্য করা যায় গল্পের নাম ও স্পটে। “একটি জায়েজ আত্মহত্যা “ তার থেকে আলাদা নয়। এ কথা ধ্রুব যে, কোনো ধর্মে আত্মহত্যা জায়েজ নয়।তবে এটা সত্য যে পৃথিবীর সকল দেশেই এই প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়।
কোনো কোনো দেশে আত্মহত্যা করার জন্য নির্দিষ্ট স্থানও রয়েছে। আর যাই হোক আমি এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করছি না এবং এরকম দুঃসাহসও দেখাতে চাই না। একজন মুসলমান হিসাবে এ বিশ্বাসের বাইরে নই আমি। গল্পের নায়িকা আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া ; সেটা তার দৃষ্টিতে সে বৈধ মনে করেছে। এটা তার ধারনা মাত্র।মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টি হলো - আত্মহত্যাকারী আত্মহত্যাকে একমাত্র মুক্তির পথ হিসাবে বিবেচনা করে। অনেকটা তার দৃষ্টিতে বৈধ। ধর্মীয় দৃষ্টিতে নয়। তাছাড়া জীবন যুদ্ধে হাজারো মানুষ অসংখ্য অসত্য পথ ও অসংগতি থেকে কিংবা এমন অনৈতিক বিষয় থেকে নিজের আত্মাকে এমন ভাবে সরিয়ে নিয়ে আসে যে,সে যত দিন বেঁচে থাকে ততদিন সে দিকে ফিরেও তাকায় না। এ ধরনের মনোভাব সে পথ ও মত থেকে যে বিচ্ছুতি ঘটায় এটাও কী সে ধ্যান ধারনার আত্যহত্যা নয়? সিদ্ধান্ত পাঠকের। “সাঁইত্রিশ দিনের বৈবাহিক জীবন” গল্পটি বাদে সবক'টি গল্পই দশম/একাদশ শ্রণিতে পড়াকালীন সময়ের লেখা। কিশোর বয়সে সৃষ্টি করা অপরিপক্ক এ কয়টি গল্প এবং সে সময়কার চিন্তা ও দৃশ্যপট একটি বইয়ের মলাটে আবদ্ধ থাক এ-চেতনা থেকেই এ বইয়ের আত্মপ্রকাশ ভুল ভ্রান্তি থাকার পরও বইটি পাঠকের হাতে তুলে দিতে পেরে নিজেকে কৃতার্থ মনে করছি।