কবিতা লেখার সঙ্গে পাঠক আকর্ষণের কোন সম্পর্ক থাকতে পারেনা। আমি সেই চাপ নিতেও চাইনি কখনো। যখন লিখি তখন একটা অদ্ভুত মাদকতা খেলা করে বুকের মধ্যে, ম্যাজিকের মতো এক একটা শব্দ আসতে থাকে উন্মাদের মতো লিখে যাই আমি, দিগন্ত বিস্তৃত। হংস বলাকার মতো ডানা মেলে উড়তে চেয়েছি কবিতায়, পিছনে ফেলে যাবতীয় সুখ-দুঃখ । কবিতার অনলে নিজেকে দগ্ধ করেছি বারবার, ভেঙে-চুরে নিজেকে করতে চেয়েছি পরিশুদ্ধ। তাইতো কবিতায় নিরুদ্দেশে হারিয়ে যাওয়া, খুব ভোরবেলায়। কবিতার ডুবসাঁতারে কেবলই খুজে বেড়িয়েছি অসীমকে। সীমা আছে এই কথা যেমন নিশ্চিত, অসীম আছে একথাও তেমনি সত্য। তবে কি সীমাকে অতিক্রম করলেই আমরা অসীমকে পাই অথবা মরলেই কি অমর জীবন। জীবনের সব চাওয়ায় পূর্ণতা পেতে নেই অথবা কখনো কখনো মনে হয় পাওয়ার জন্যে যে অস্থিরতা তারও বেশী উন্মাদনা থাকে নিজেকে বঞ্চিত করাতে। অবহেলাও ভালো লাগে কখনো কখনো। এই বইয়ের কবিতাগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে লিখে ফেলেছিলাম। ভিতরে ভিতরে একটা ভীষণ তাড়া ছিলো, কি সেই অস্থিরতা জানতে পারিনি আজও। অস্থির সময়ে আমিই কেবল সময়¯্রােতের বাইরে একটি জায়গায় স্থির হয়ে পরে আছি আর সমস্ত জগৎ আমার অজ্ঞাতে একটু একটু করে নিজেকে বদলে নিয়েছে। সময় বদলে যাক, তুমি ভালো থাকো, আমি ভালো আছি, কবিতার মতো, কবিতার ছায়ায়-ছায়ায় শত কাশফুল হয়ে ফুটে থাকো।