অবস্থা দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে। কিছু লোক মনে করে, গোলটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে এর সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, গোলটেবিল বৈঠকে তো প্রমাণাদির মাধ্যমে আলোচনা হয়। কিন্তু ইয়াহুদিরা যদি দলিল-প্রমাণেই সন্তুষ্ট হতো, তাহলে ফিলিস্তিনের বুকে রক্তের হোলি খেলায় লিপ্ত হতো না। যদি দলিল-প্রমাণের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হতো, তাহলে পৃথিবীতে কোনো সমরাস্ত্র তৈরির প্রয়োজন হতো না। মানুষ কথাবার্তার মাধ্যমেই নিজেদের পাওনা আদায় করে নিতে পারত। কিন্তু বাস্তবে দলিল যতই মজবুত ও সত্য হোক না কেন তা বাস্তবায়নের জন্য শক্তির প্রয়োজন। ইনসাফ প্রতিষ্ঠা ও অধিকার অর্জনের সাফল্য মূলত বাহ্যিক শক্তির হাতে বন্ধক। অন্যথায় নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও যুদ্ধের জন্য সৈন্যবাহিনী অনর্থক হয়ে যেত। তাই গোলটেবিল বৈঠক তখনই ফলপ্রসূ হয় যখন দুটি পক্ষ সমান শক্তির অধিকারী হয় এবং আলোচনা ব্যর্থ হলে এক পক্ষ অন্য পক্ষ থেকে আক্রমণের ভয় করে। আলোচনার টেবিলে দলিলের ফাইল খোলার আগে প্রয়োজনীয় শক্তি অর্জন করা না গেলে শুধু আলোচনাই চলতে থাকবে; কিন্তু মাজলুমের নিপীড়ন কোনোভাবেই বন্ধ হবে না।
হে একত্ববাদে বিশ্বাসী সরল মুসলমানগণ! যে হতভাগা ইয়াহুদিরা আল্লাহর প্রিয় নবিদের সম্মান করতে পারেনি ওরা তোমাদের অধিকারের সম্মান কীভাবে দেবে? তাদের সাথে আলোচনায় বসা তখন পর্যন্ত অনর্থক হবে, যে পর্যন্ত সামরিক অঙ্গনে ওদের মোকাবিলা করার সামর্থ্য অর্জিত না হবে।