ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ জীবনভর এত এত সম্পর্ক নির্মাণ করি আমরা, তবু কেন কেউ কেউ এমন নিঃসঙ্গতায় ভোগে? কেন মনে হয় , সবার কাছে আমি অচেনাই রয়ে গেলাম? কেন মনের সব কথা খুলে বলার মতো মানুষ খোঁজে যাওয়া যায় না এক জীবনে? কেন অধিকাংশ কথা বুকের গোপন কোটরে জমা রেখে এই অপূর্ব সুন্দর পৃথিবী তেকে বিদায় নিতে হয় প্রতিটি মানুষকে? এসব প্রশ্নের উত্তর নেই। বরং আছে এই অনুভূতি ‘মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা ও একা’ । এই সময়ের এক সংবেদী রূপকার ,শক্তিমান কথাশিল্পী আহমাদ মোস্তফা কামাল তাঁর অনুপম সজীব-নির্বিকল্প গদ্যে বিবিধ আখ্যানের আলোকে সেইসব একাকী মানুষের গ্লানি ও বেদনা ,অসুখ ও স্খলন, যন্ত্রণা ও ক্লান্তিকে এঁকেছেন গভীর মমতা দিয়ে। জাদুবিস্তারি বর্ণনায় সাজিয়েছেন পাই, আলো পাই , শব্দ শুনি। আসুন ,প্রিয় পাঠক, আমরাও তাঁর সঙ্গে এই জীবন অবলোকন করি।
সূচি * নিশীথ যামিনী ঘন অন্ধকারে * রিক্ত শাখা আবার কবে পূর্ণ হবে * পথ নেই, পাঁচালিও নেই * বসন্তদিনে * নৈশভ্রমণ * অন্ধকারের গান * দ্বিতীয় মানুষ * মরিবার হলো তার সাধ * মৌনমুখরতা * ঘুমায়ে পড়িব আমি
আহমাদ মোস্তফা কামাল
জন্ম ১৪ ডিসেম্বর ১৯৬৯। পড়াশোনা করেছেন পাটগ্রাম হাইস্কুল, মানিকগঞ্জ, নটরডেম কলেজ, ঢাকা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ বিএসসি, এমএসসি, এমফিল এবং পিএইচ.ডি। পেশাগত জীবনের শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। বর্তমানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ-এ কর্মরত। কিন্তু যাবতীয় বৈষয়িক সাফল্যের সম্ভাবনাকে নাকচ করে শুধুমাত্র লেখালেখিকেই তিনি জীবনের সকল স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছেন। লেখালেখির শুরু ’৯০ দশকের গোড়া থেকেই। প্রথম গল্পগ্রন্থ দ্বিতীয় মানুষ প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে। এরপর আরো সাতটি গল্পগ্রন্থ, ছ’টি উপন্যাস এবং চারটি প্রবন্ধগ্রন্থ বেরিয়েছে। এটি তাঁর প্রথম প্রবন্ধ সংকলন। তাঁর চতুর্থ গল্পগ্রন্থ ঘরভরতি মানুষ অথবা নৈঃশব্দ্য লাভ করেছে মর্যাদাপূর্ণ ‘প্রথম আলো বর্ষসেরা বই ১৪১৩’ পুরস্কার। দ্বিতীয় উপন্যাস অন্ধ জাদুকর ভূষিত হয়েছে ‘এইচএসবিসি-কালি ও কলম পুরস্কার’ ২০০৯-এ, এবং তৃতীয় উপন্যাস কান্নাপর্ব ২০১২ সালের শ্র্রেষ্ঠ গ্রন্থ হিসেবে লাভ করেছে ‘জেমকন সাহিত্য পুরস্কার’ ২০১৩।