আমাদের কারও চোখেই ঘুম নেই।দুঃস্বপ্নের মতো কেঁটে যাচ্ছে প্রতিটা রাত।আমরা দুজনেই ঢাকা ভার্সিটিতে পড়তাম।আমাদের মাঝে অদ্ভুত এক সম্পর্ক আছে।জানিস নীলুও যুদ্ধ করছে।কিন্তু ওর যুদ্ধ আর আমাদের যুদ্ধের মাঝে অনেকটাই তফাত।আমরা শত্রুকে জানান দিয়ে যুদ্ধ করছি।মৃত্যুর ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করছি।আর ও মরে গিয়ে যুদ্ধ করছে।অমিলটা দেখছিস কত বড়!
ও মিলিটারির ক্যাম্পে থাকে।ইচ্ছে করেই থাকে।যখন মরেই গেছে,তখন বেঁচে থাকার চিন্তা করাটা অস্বাভাবিক না!জানিস আমিও স্বপ্ন দেখতাম,আমাদের একটা ঘর হবে,আমার একটা চাকরি হবে।এরকম জোসনার রাত আসবে।ও আমার কাঁধে মাথা রেখে সারারাত গল্প করবে।কিন্তু দেখ,এখন এসব চিন্তা কারোরই মাথায় আসে না!আমাদের পুরো মস্তিষ্কজুড়ে একটা প্রেতাত্মায় খেলা করে, যুদ্ধ!
বু স্পষ্ট দেখতে পায়,তানভীরের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে।জোসনার আলোয় সে জল চিকচিক করছে।একটা পুরুষ মানুষের কতটা কষ্ট জমা থাকলে কান্না পায়!সে স্পষ্ট দেখতে পায়,তানভীরের জমাট বাঁধা দুঃখগুলো বরফের ন্যায় গলে গলে ঘাসের ডগায় পড়ছে।