ব্যক্তিভেদে সমাজের প্রতিটি মানুষের নির্দ্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব থাকে। একজনের দায়িত্ব পালনের গাফিলতিতে অন্যের জীবন ধ্বংসও হয়ে যায়। আবার একের লোভের আগুনে পুড়তে হয় অন্যকে। ডাক্তারের একটা ভুল রিপোর্টের কারণে বিচারক সিরাজউদ্দীন সাহেবের সংসার ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। আবার সিরাজউদ্দীন সাহেবের বিচারকার্যে দায়িত্বহীন ভুলের কারণে মিথ্যা মামলায় রাফসান আহমেদের মতো স্কলারের জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। ঘটনাচক্রে কলেজ জীবনের সহপাঠী সিরাজউদ্দীন সাহেবের ডিভোর্সি স্ত্রী রিবুর সাথে সদ্য জেলমুক্ত রাফসান আহমেদের আকস্মিক দেখা তার জীবনের গতি পালটে দেয়। দীর্ঘ পঁচিশ বছরের প্রচেষ্টায় হাইকোর্টের রায়ে রাফসান আহমেদ নির্দোষ প্রমাণিত হয়। তারপর খুঁজে বের করেন মিথ্যা মামলার পেছনের মূল কুশীলব যশ-খ্যাতির লোভী তার বস সাইফুদ্দীন সাহেবকে, অজান্তেই যার সহযোগী হয়েছিল তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা, দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা ও বিচারক সিরাজউদ্দীন সাহেব। লালিত স্বপ্ন পূরণে নিঃসঙ্গ জীবনে দেশ ও মানুষের কল্যাণে সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে রাফসান আহমেদ বুঝিয়ে দিয়ে যান মানবজনমের সার্থকতা কোথায়? আর সিরাজউদ্দীন সাহেব! অপরাধবোধ আর একাকীত্বের দহনে দগ্ধ হয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন অতীতে অস্বীকৃত ঠিকানাবিহীন সন্তানের খোঁজে।