হতাশাগ্রস্ত যারা অন্তরের রোগে আক্রান্ত
উঠে পরে বাড়ির ছাদে কিংবা কিনে আনে দড়ি
যাদের নিঃশ্বাসে কাঁদে জীবনের আহাজারি।
কিংবা প্যাঁচাবে গলায় ওড়না বলে ভেবেছে
তাদের খোঁজ কি কখনো কেউ নিয়েছে?
তোমাদের দাওয়াত আমার বাড়ি,
কিছু না হোক, একসাথে গলাগলি ধরে
কাঁদতে তো পারি।
তোমাদের ক্রন্দনে হোক নয়া-জীবনের জাগরণ
"আহত আত্মার মুক্তি চাই" আমার এবারের আয়োজন।
তবীব মাহমুদ
মুহাম্মদ ফজলুর রহমান ও রোজিনা আক্তার দম্পতির একমাত্র পুত্র তরীর মাহমুদ জন্মগ্রহণ করেন মানিকগঞ্জ জেলা সদর থানার দাশড়া গ্রামে, ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর। দুই বোন মালিহা ও লাবীবা । পড়াশোনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে। তরুণ এই কবি তাঁর লেখার মাধ্যমে তুলে এনেছেন। জনমানুষের না বলা কথা। ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী ও সুশিক্ষার জন্য তিনি লড়ে যাচ্ছেন স্রোতের বিপরীতে। পথশিশু-মুক্ত পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখে চলছেন। প্রতিনিয়ত। এজন্য ইউনাইটেড ন্যাশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (UNDP) তাঁকে 'ট্রান্সফরমার' খেতাবে ভূষিত করেছে এবং তাঁর গল্প নিয়ে প্রকাশ করেছে ট্রান্সফরমার নামের একটি বই, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণার গল্প হিসেবে পঠিত হচ্ছে। তরুণ এই লেখক তাঁর লেখার মাধ্যমে ইতোমধ্যেই জায় করেছেন লাখো মানুষের মন। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'আমি মানুষ বলেই। ২০২০ সালে প্রকাশিত দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ 'কিছু বইয়ের নাম থাকে না'। তাঁর এবারের আয়োজন 'আহত আত্মার মুক্তি চাই', যাতে রয়েছে হতাশাগ্রস্ত অন্তরের রোগে আক্রান্ত মানুষের মুক্তির পথ নির্দেশনা। হতাশারা দূরে যাক। প্রশান্তির মহাসাগরে মানুষের মন হোক নীলতিমির মতো ভালোবাসা নিরন্তর।