‘আহলে সুন্নাত’ অর্থ সুন্নত-পন্থী। যে পথের দিশা নবীজি (ﷺ) দিয়ে গেছেন, যে পথে সাহাবীগণ চলেছেন, সেই পথের অনুসারীদের ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত’ বলা হয়। কিন্তু মজার বিষয় হলো, এই নামটি এখন সবার একক মালিকানায় পরিণত হয়েছে। প্রত্যেক দল-উপদল নিজেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। হোক তা হক কিংবা বাতিল-পন্থীদের দল।
.
এজন্য বর্তমানে যেটা আমাদের সবার জন্য জরুরী, তা হচ্ছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের প্রকৃত পরিচয় জানা। আমাদের পূর্বসূরিগণ আহলে সুন্নাত বলতে কী বুঝতেন, তা ভাল করে বুঝে নেয়া। তাদের আকীদা, কর্মপন্থা সম্পর্কে গভীর না হলেও মৌলিক স্তরের জ্ঞান রাখা; যাতে এত দল-মতের ভিড়ে সত্যের সন্ধান পাওয়া যায়, সত্যের ওপর অটল এবং অবিচল থাকা যায়। কারণ, দিন শেষে নবীজির শিক্ষা, সাহাবী এবং পরবর্তী দুই প্রজন্মের আলিমদের আদর্শের ওপর যারা থাকবে, তারাই নাজাত পাবে। নবীজি বিদায় হজের দিন এই কথাই বলে গেছেন।
.
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি এই ক্ষেত্রে অনবদ্য একটি গ্রন্থ। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের পরিচয়, নির্ভেজাল আকীদার মৌলিক বিষয়াদি, প্রচলিত কুফরের ওপর চমৎকার আলোচনা করা হয়েছে এতে। সংক্ষেপে যারা ইসলামের মৌলিক আকীদা শিখতে চান বা শেখাতে চান, তাদের জন্য এটি অবশ্যপাঠ্য। এছাড়া দাওয়াতি কাজের ক্ষেত্রেও অসাধারণ একটি উপকরণ হিসেবে কাজ করবে বইটি।