যুদ্ধ সবসময় অকল্যাণ ডেকে আনে না, কল্যাণও বয়ে আনে। উদাহরণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিকে স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিয়েছে।
বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিকদের সবাই মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গল্প-উপন্যাস লিখেছেন। হরিশংকর জলদাসও এর ব্যতিক্রম নন। মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে তাঁর গল্পের সংখ্যা পাঁচটি। এই পাঁচটি গল্প নিয়ে ‘আহব ইদানীং’।
হরিশংকর জলদাস
১৯৫৫'র ১২ অক্টোবর জন্ম, চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গার জেলেপল্লিতে। সাতচল্লিশ বছর বয়সে লিখতে বসা ঠেকায় পড়ে। লিখতে বসেছিলেন গবেষণাপত্র, লিখে ফেললেন ‘জলপুত্র’ উপন্যাসটি। জলপুত্র’ হরিশংকর জলদাসকে মর্যাদার আসনে বসিয়ে দিল। নতুনধারার নতুন রকম উপন্যাস পরের বছরে বের হলো 'দহনকাল’, ‘কসবি’, ‘রামগােলাম’, ‘হৃদয়নদী, ‘মােহনা’, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’, ‘আমি মৃণালিনী নই’, ‘এখন তুমি কেমন আছ', ‘একলব্য' উপন্যাসগুলাে। তার গল্পের বই-জলদাসীর গল্প’, ‘লুচ্চা’, ‘হরকিশােরবাবু “কোনাে এক চন্দ্রাবতী’, ‘মাকাললতা', 'বাছাই বারাে' ও ‘গল্পসমগ্র : ১' বাংলা একাডেমি থেকে বেরিয়েছে। তাঁর ডক্টরাল থিসিস ‘নদীভিত্তিক বাংলা উপন্যাস ও কৈবর্তজনজীবন অন্যান্য গদ্যগ্রন্থ-কৈবর্ত কথা’, ‘নিজের সঙ্গে দেখা’, ‘জীবনানন্দ ও তাঁর কাল’, ‘লােকবাদক বিনয়বাশী’, ‘বাংলা সাহিত্যের নানা অনুষঙ্গ। হরিশংকর জলদাস কাহিনী লিখেন না শুধু, সমাজকেও লিখেন। কথাসাহিত্যে ব্যতিক্রমী হাওয়া নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। তার চরিত্ররা সমাজের প্রান্তজন- জেলে, বীরাঙ্গনা, মেথর, কোটনা, মুচি, খুনি সাহিত্যকর্মের জন্য পেয়েছেন ‘আলাওল সাহিত্য পুরস্কার' (জলপুত্র), ‘প্রথম আলাে বর্ষসেরা, বই পুরস্কার’ (দহনকাল), সিটি আনন্দ আলাে পুরস্কার’ ও ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার সম্মাননা পদক' (রামগােলাম), ব্র্যাকব্যাংক সমকাল সাহিত্য পুরস্কার (প্রতিদ্বন্দ্বী)। কথাসাহিত্যে সার্বিক অবদানের জন্য পেয়েছেন অবসর সাহিত্য পুরস্কার’, ‘ড. রশিদ আল ফারুকী সাহিত্য পুরস্কার।
কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার। পেয়েছেন ২০১২ সালে।