ছেলেটি দৌড়াচ্ছে। না, দু’পায়ে নয়... এক মনে। খুঁজছে কাউকে। থামছে না, থামবার ফুসরত নেই। মেয়েটিরও একই অবস্থা। চটপট করছে পাওয়ার জন্য।
কিন্তু ঘরে বসে থাকলে তো পাওয়া যাবে না!
বের হয়ে গেল দু’জন, দু’দিকে।
ছুটছে তারা।
কেনো ছুটছে? সৃষ্টি নাকি ধ্বংসের উন্মাদনায়?
তারা জানে না।
শহরের এমন কোনো স্থান নেই যেখানে খোঁজা হয়নি।
‘... বাঁধন পাগলের মতো চিৎকার দিয়ে বলতে থাকে, আমি আমার মাকে খুন করেছি। আমি খুনি! আমি খুনি! আমাকে কেউ ক্ষমা কোরো না!’
চিঠির কথাগুলো দিশেহারা ভাই-বোন বাঁধন আর জোড়ার আবারও মনে পড়ে।
মানুষ সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হতে পারে। এক নদী পার হতে পারে না। সেই নদীর নাম ‘ইগো’।
একটি ইগোর চরম পরিণতির খসড়া কতটা হৃদয়বিদারক হতে পারে তার উদাহরণ মীর্জা আমীর-এর প্রকাশিতব্য উপন্যাস ‘আগুনের বরফ নদী’।