গল্পের কিছু অংশ আমাদের বাড়ির পুকুরটা ভরতি ছিলো কচুরিপানায়। আমরা কি করতাম জানো? টাপা নিয়ে_ টাপা চেনো তো, ওই ধামার মতো আর কি _ টাপা বা ধামা কোনোটাই চেনার কোনো লক্ষণ শ্রোতার এক্সপ্রেশনে দেখতে না পেয়ে বক্তা এবার হাত দিয়ে বোঝাবার চেষ্টা করে জিনিসটা কি রকম_ বাঁশের তৈরী বুঝেছো, মুরগি ঢেকে রাখতো। বাড়ির পুকুর থেকে টাপা ও ধামা হয়ে মুরগিতে এসে ঠেকলে বর্ণনাটি ঠিক কোনদিকে টার্ন নেবে ঠাহর করা যায়না। তবে ভরসার কথা, অচিরেই আবার বাড়ির পুকুর ফিরে আসে _ তো, আমরা ওই টাপা দিয়ে হাঁটু বা কোমর পানিতে নেমে কচুরিপানা তুলতাম। তারপর ডাঙ্গায় এনে কচুরিপানাগুলো ফেলে দিলে দেখা যেত, অনেকগুলো কৈ মাছ খলবল খলবল করছে। ইয়া বড়ো বড়ো।
আহমাদ মোস্তফা কামাল
জন্ম ১৪ ডিসেম্বর ১৯৬৯। পড়াশোনা করেছেন পাটগ্রাম হাইস্কুল, মানিকগঞ্জ, নটরডেম কলেজ, ঢাকা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ বিএসসি, এমএসসি, এমফিল এবং পিএইচ.ডি। পেশাগত জীবনের শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। বর্তমানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ-এ কর্মরত। কিন্তু যাবতীয় বৈষয়িক সাফল্যের সম্ভাবনাকে নাকচ করে শুধুমাত্র লেখালেখিকেই তিনি জীবনের সকল স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছেন। লেখালেখির শুরু ’৯০ দশকের গোড়া থেকেই। প্রথম গল্পগ্রন্থ দ্বিতীয় মানুষ প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে। এরপর আরো সাতটি গল্পগ্রন্থ, ছ’টি উপন্যাস এবং চারটি প্রবন্ধগ্রন্থ বেরিয়েছে। এটি তাঁর প্রথম প্রবন্ধ সংকলন। তাঁর চতুর্থ গল্পগ্রন্থ ঘরভরতি মানুষ অথবা নৈঃশব্দ্য লাভ করেছে মর্যাদাপূর্ণ ‘প্রথম আলো বর্ষসেরা বই ১৪১৩’ পুরস্কার। দ্বিতীয় উপন্যাস অন্ধ জাদুকর ভূষিত হয়েছে ‘এইচএসবিসি-কালি ও কলম পুরস্কার’ ২০০৯-এ, এবং তৃতীয় উপন্যাস কান্নাপর্ব ২০১২ সালের শ্র্রেষ্ঠ গ্রন্থ হিসেবে লাভ করেছে ‘জেমকন সাহিত্য পুরস্কার’ ২০১৩।