মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা)-এর জীবনী সম্পর্কে জানেন, পড়েছেন, বা ধারণা রাখেন এমন অধিকাংশ মানুষকেই যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, ইসলামের আবির্ভাব ও অভ্যুত্থান কী করে হয়েছিল? ৫৭০-৭১ সালের হিসেব থেকে থেকে শুরু করে মক্কা বিজয়, বিদায় হজ্ব ও মহানবী (সা)-এর ওফাত পর্যন্ত অনেকেই উত্তর দিয়ে ফেলতে পারবেন। প্রশ্ন হলো, তারপর? এরপর কী হলো? দুঃখজনক হলেও সত্য, তাঁর ওফাতের পর “অতঃপর সকলে সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো” গোছের ধ্রুপদী ইতির দেখা মেলেনি। ইসলামের ইতিহাসে তখন যে দুটো অধ্যায়ের সূচনা হয় সেগুলোকে বলা হয় ‘প্রথম ফিতনা’ ও ‘দ্বিতীয় ফিতনা’- চার খলিফার মাঝে গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত হন তিনজনই, এরপর নানা বিদ্রোহ ও কারবালার রক্তাক্ত প্রান্তরের মর্মান্তিক ইতিহাস। এগুলোর বিস্তারিত জানতে গিয়ে সুন্নি ও শিয়া উভয় ইতিহাসের মুখোমুখি হতে হয়। এই দুই ইতিহাসের আবার রয়েছে কিছু কমন বিষয়, যেগুলো পড়লে অনুধাবন করা যায়- কিংবা অনুধাবন করার চেষ্টা করা যেতে পারে- আসলে কী হয়েছিল? কীভাবে হয়েছিল? কেন হয়েছিল? ইসলামের করুণ এ অধ্যায়ের নানা প্রশ্নের উত্তর মিলে যেতে পারে সংক্ষিপ্ত এ পাঠে। হ্যাঁ, এটা সংক্ষিপ্তই। এই মহাকাব্যিক ইতিহাস কোনোদিনই বিস্তারিতভাবে এত অল্প কথায় শেষ করা যাবে না। কিন্তু এ বইতে সে চেষ্টা করা হয়েছে। অনুবাদক হিসেবে যথেষ্ট চেষ্টা করেছি ভুলত্রুটি সংশোধনের, পাঠককে যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ সম্পর্কে ধারণা দেয়া যায়। তার চেয়েও বড় কথা, এ বইটি লিখেছেন একজন পশ্চিমা ও একজন অমুসলিম, যার ফলে ইসলামি বিশ্বের শিয়া-সুন্নি দ্বৈরথ নিয়ে পশ্চিমারা কী ভাবে না ভাবে, সেটা সম্পর্কেও আপনি ধারণা পেয়ে যাবেন। আর, আপনি যদি আমার ‘দ্য প্রফেট’ বইটি পড়ে থাকেন, তাহলে তো পাঠক আগে থেকেই আন্দাজ করতে পারছেন এ বইটি কেমন হতে চলেছে! সুতরাং, পড়তে শুরু করুন ‘আফটার দ্য প্রফেট’ এবং হারিয়ে যান সপ্তম শতকের উত্তাল আরবে।
“চিত্তাকর্ষক লেখনি… এতটাই প্রাণবন্ত যে শেষ না করে ওঠার উপায় নেই… আজকের মধ্যপ্রাচ্যকে যদি কেউ বুঝতে চান, জানতে চান এর আদি ইতিহাস, তাহলে তার জন্যই এ বই…”
-দ্য সিয়াটল টাইমস