এ বইটি গবেষণামূলক একাডেমিক কোনো কাজ নয়। এটি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির গল্প, যিনি লাখ লাখ মানুষের জীবনকে স্পর্শ করেছেন এবং আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের একটি অর্থোডক্স বা শেকড়মুখী আন্দোলনের আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা কেবল সে অঞ্চলেরই নয়; বরং সারা বিশ্বের ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করে দিয়েছে। মাওলানা সামিউল হককে মানুষ যখন ‘তালেবানের পিতা’ বলে অভিহিত করে, তখন তিনি গর্বিত বোধ করেন। যদিও পশ্চিম-অনুরাগী অনেকের মতে, এই উপাধি একজন আলিম হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
পরিতাপের বিষয় হলো, তালেবানরা অশিক্ষিত, অসভ্য এবং নিষ্ঠুর বলে বিষাক্ত যেসব বয়ান তৈরি করা হয়েছিল, তা আজও অব্যাহত রয়েছে। আর এ কারণেই মাওলানা সামিউল হকের এ বইটির জরুরত অনস্বীকার্য; বিশেষত সেসব মানুষের জন্য, যারা পাশ্চাত্যের গৎবাঁধা জাতিবাদী ও ইসলামবিদ্বেষী বয়ানের পরিবর্তে ভিন্ন এক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে চান।
পৃথিবীর অন্যতম ও প্রভাবশালী একজন আলিম তালেবানকে কীভাবে দেখেন এবং কীভাবে তালিবানরা সন্ত্রাসের বিপক্ষে ও শান্তির পক্ষে নিরন্তর লড়াই করে গেছেন—সেসব জানার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে বইটি।