ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তের মানুষকে কমবেশি এ্যাডভেঞ্চারের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। কথাশিল্পীরা গল্প উপন্যাসে যেসব এ্যাডভেঞ্চার কাহিনী লিখে থাকেন, তাও কোনো না কোনোভাবে আমাদের জীবনের প্রতিচ্ছবি। তবে এ কথাও সত্য, কিছু কিছু কাহিনী মানুষের মনকে আলোড়িত করে। জীবনকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করে। এনায়েত রসুলের তেমনি শিশুতোষ পাঁচটি এ্যাডভেঞ্চার কাহিনী নিয়ে সজ্জিত হয়েছে এই ‘এ্যাডভেঞ্চার সমগ্র’। এই কাহিনীগুলোর মূল চরিত্র ধারাবাহিকভঅবে পাঁচটি বইয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ডক্টর নিপু বিশ্বখ্যাত এক বাঙালি বিজ্ঞানী। তার সঙ্গে পরিচয় হয় দুঃসাহসী কিশোর তন্ময় ও নাফিসের। এই দুই কিশোর চলার পথে নিজেদের অজান্তেই জড়িয়ে পড়ে রোমহযর্ষক নানা ঘটনার সঙ্গে। ওরা ছেলেধরার হাতে পড়ে, কাপালীকের হাতে পড়ে নরবলীর মুখোমুখি হয়। ভিনদেশ থেকে ভেলায় করে ভেসে আসা এক নিঃসঙ্গ জলদস্যুর কাছ থেকে অন্যরকম অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়। প্রৌঢ় বিজ্ঞানী ডক্টর নিপু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন বিপদ থেকৈ উদ্ধার করেন কিশেঅরদ্বয়কে। অন্যদিকে উচ্চাভিলাষী জাপানি বিজ্ঞানী ডক্টর তুশেঅর হাতে বন্দী হন ডক্টর নিপু। ডক্টর নিপু যেমন বারবার তন্ময় ও নাফিসের জীবন রক্ষা করেছেন, তেমনি জীবনের মায়া তুচ্ছ করে ভয়ঙ্কর বিজ্ঞানী তুশোর হাত থেকে ডক্টর নিপু্কেও রক্সা করে ওরা। পাতায় পাতায় রহস্য ও রোমাঞ্চকর সব কাহিনী পাঠকে অন্যএক ভুবনে নিয়ে যাবে।
এনায়েত রসুল
এনায়েত রসুল স্বনামখ্যাত শিশু সাহিত্যিক মােহাম্মদ নাসির আলীর দ্বিতীয় পুত্র। ১৯৫৩ সালের ১২ জুন বিক্রমপুরের ধাইদা গ্রামে জন্ম। লেখাপড়া ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির ওপর। লেখালেখির জগতে বিচরণ ১৯৬৫ থেকে। প্রথম লেখা ছাপা হয়েছে। ‘জুনিয়র রেডক্রস’ পত্রিকায়। ওটা ছিল ছড়া। সব বয়সী পাঠকদের জন্যে লেখেন এনায়েত রসুল। তবে মূলত শিশুসাহিত্যিক। শিশুসাহিত্য সৃষ্টিতে তার দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৮০। এনায়েত রসুলের পাঠকপ্রিয় বইগুলাের মধ্যে এক আকাশ মেঘ এক পশলা বৃষ্টি পােডড়া বাড়ি রহস্য ডক্টর নিপুর এক্সপেরিমেন্ট নিঝুমগড় ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্করের হাতছানি বাতিঘরের বুড়াে অন্যরকম বুবাই বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী চিকিৎসা বিজ্ঞানে আবিষ্কার চিচি বিজ্ঞানীদের জীবন ও আবিষ্কার এবং আমাদের জাতিসত্তা ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ উল্লেখযােগ্য। এনায়েত রসুল শিশুতােষগল্পের জন্য ইউনিসেফ ঘােষিত “মীনা মিডিয়া এওয়ার্ড২০০৮' পদক অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় দৈনিক আমার দেশ’-এ সহ-সম্পাদক পদে কর্মরত। সেইসঙ্গে ছােটদের পাতা ‘এক্কাদোক্কা’ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন।