আদর্শ রমণী" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
রমণীদের মধ্যে সুন্দরী রমণীর অভাব নেই। কিন্তু ‘আদর্শ রমণী’র বড় অভাব। যারা আদর্শ মানুষ অথবা আদর্শকে ভালবাসেন এমন মানুষ সেই রমণীর অনুসন্ধান করে থাকেন বিবাহের পূর্বে। অনেকে সে মর্মে কিছু লেখার পরামর্শ দেন। সেই ভাইদের আশা মতাে তেমনই রমণী গড়ার প্রচেষ্টায় আমার এবারের প্রয়াস। আল্লাহ যেন তা কবুল করেন। আমি এ পুস্তিকায় সরাসরি আমার দ্বীনী বােনকে সম্বােধন করেছি। তার প্রকৃতি ও মনের পরশ পেতে যথা সম্ভব গান, কবিতা ও হেঁয়ালি দিয়ে কথার মালা গেঁথেছি। আশা করি, সেই ফুলের মালা তার গলায় শােভা পাবে। স্বামীগৃহ ও সংসারের কিছু খুঁটিনাটি ছােট ছােট কথা লিখেছি, আশা করি, তা তার দাম্পত্য জীবনের সহায়ক হবে। এই পুস্তিকা পড়ে নিজেকে ‘আদর্শ তরুণী, আদর্শ স্ত্রী, আদর্শ মা ও আদর্শ শাশুড়ী’ হিসাবে নিজেকে গড়তে প্রয়াস পাবে। আর তাওফীক আল্লাহর হাতে। আমি যে আবেগ নিয়ে লিখেছি, সেই আবেগ নিয়ে পড়তে আমার বােনটিকে আবেদন জানাচ্ছি। হয়তােবা এত সব কথা মানতে তােমাকে ভারী বােধ হবে, কিন্তু ‘আদর্শ রমণী’ হতে হলে কিছু ত্যাগ স্বীকার তাে করতেই হবে।
‘বড় হওয়া সংসারেতে কঠিন ব্যাপার,
সংসারে সে বড় হয়, বড় গুণ যার।
বইটি পড়ে তুমি মনে করতে পারাে যে, নারীকে কেবল পুরুষের সুখদানকারিণীর ভূমিকায় রাখা হয়েছে। আমি বলি, সেটা হলেই বা ক্ষতি কী? স্বামীকে কি স্ত্রীর সুখদানকারী রূপে সৃষ্টি করা হয়নি? নারী-পুরুষ একে অপরের সুখদানকারী না হলে দাম্পত্যে সুখ কোথায়? তুমি মনে করতে পার, বইটিতে নারীকে অনেক ক্ষেত্রে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। আমি বলি, হ্যাঁ, তা অবশ্যই। তবে তা বিশেষ শ্রেণীর বিশেষ স্বভাবের নারীকে।