পারিবারিক জীবনে শান্তি ও স্বস্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আরবের প্রখ্যাত চিন্তাবিদ প্রফেসর ড. আব্দুল কারিম বাক্কার রচনা করেছেন একের পর এক চমৎকার গ্রন্থ। আরব বিশ্বের জনপ্রিয় এ বইগুলো ‘আদর্শ পরিবার সিরিজ’ নামে বাঙালি পাঠকদের জন্য সহজ, সুন্দর, সাবলীল ভাষায় উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে সমকালীন প্রকাশন।
আদর্শ পরিবার সিরিজের ১ম বই ‘সুখী পরিবার নির্মাণের রূপরেখা’। যে কারণে আমরা এ বইটি পড়ব—
১. সহজ ভাষায় ও গল্পের ছলে ‘সুখী পরিবার নির্মাণের রূপরেখা’ বইটি আপনার সামনে মেলে ধরবে সুখী পরিবার গড়ে তোলার চমৎকার সব কৌশল।
২. এ বইটি নিঃসন্দেহে আমাদের হিংসা-বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্ব-কলহের অবসান ঘটিয়ে পারিবারিক বন্ধন আরো মজবুত করে তুলবে।
৩. জীবনঘনিষ্ঠ আলোচনা ও হৃদয়ছোঁয়া গল্পে মুখরিত এ বই আপনার জীবনে এনে দেবে সুখ, সমৃদ্ধি, প্রাচুর্য আর অনাবিল আনন্দ।
৪. পরিবারকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে সুস্থ-সুন্দর সমাজ। আমাদের পরিবারগুলো সুখী হলে, সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার, পাপ-পঙ্কিলতা সব দূর হয়ে যাবে। তাই সুন্দর সমাজ ও পরিবার গঠনের লক্ষ্যে এ বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
আদর্শ পরিবার সিরিজের ২য় বই ‘সন্তান গড়ার কার্যকরী কৌশল’। যে কারণে আমরা এ বইটি পড়ব—
১. শিশুকে যথার্থ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার বেশকিছু কার্যকরী ও উদ্ভাবনী কৌশলের দেখা মিলবে এখানে।
২. পড়াশোনায় শিশুদের মনোযোগ বৃদ্ধি, টিভি আর ফোনের আসক্তি থেকে মুক্তি এবং সন্তানদের মধ্যকার ঝগড়া-বিবাদ দূর করে কীভাবে তাদেরকে সুন্দর জীবন উপহার দেবেন তা জানতে পড়ে ফেলুন এ বইটি।
৩. শিশুরা বাবা-মাকে দেখেই চরিত্র গঠন করে। তাই সন্তানের সামনে নিজেকে আদর্শ এবং অনুসরণীয় ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে এ বইটি নিঃসন্দেহে অবশ্যপাঠ্য।
৪. সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে, তাদেরকে ভদ্রতা, শৃঙ্খলা ও নীতি-নৈতিকতা শেখাতে এমন বইয়ের জুড়ি মেলা ভার।
৫. বইটি পড়লে আরো জানা যাবে, বাবা-মায়ের কোন কথা আর কাজে শিশুদের মন ভেঙে যায় এবং হতাশায় ডুবে গিয়ে তারা বিপথে চলে যায়। আদর্শ পরিবার সিরিজের ৩য় বই ‘পারিবারিক সম্পর্কের বুনন’। যে কারণে আমরা এ বইটি পড়ব—
১. পরিবারে শান্তি প্রতিষ্ঠা, সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান এবং সবার সাথে সুসম্পর্ক তৈরিতে এ বইটি আপনার বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়াবে।
২. দাম্পত্যজীবনকে আরো গতিময় করে তুলতে এবং পারস্পরিক সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও সহানুভূতি বাড়িয়ে দিতে এমন বই খুব কমই পাবেন পৃথিবীর বুকে।
৩. একটি সুষ্ঠু-সুন্দর পারিবারিক আলাপন আপনার জীবনে এনে দিতে পারে ভিন্ন এক মাত্রা। কীভাবে পরিবারের সবার সাথে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাবেন, কীভাবে যেকোনো সমস্যায় কার্যকরী সমাধান খুঁজে বের করবেন, তা জানতে হলে এ বইটি আপনাকে পড়তেই হবে।
আদর্শ পরিবার সিরিজের ৪র্থ বই ‘সন্তানের বয়ঃসন্ধিকালের মনস্তত্ত্ব’। যে কারণে আমরা এ বইটি পড়ব—
১. এ বইটি পড়লে কিশোর-কিশোরীদের চিন্তাজগতের সাথে পরিচিত হওয়া যাবে। সেই সাথে তাদের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়বস্তু সম্পর্কেও সুস্পষ্ট ধারণা মিলবে।
২. কিশোর-সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে এবং তাকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে এ বই আপনাকে উপহার দেবে চমৎকার সব কৌশল আর কার্যকরী পদক্ষেপ।
৩. কৈশোর মানবজীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ সময় প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিত সন্তানের পাশে থাকা, তার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করা এবং ভালো কাজের ব্যাপারে তাকে উৎসাহ জোগানো।
৪. যেসব কিশোর-কিশোরী খারাপ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে বিপথে চলে গিয়েছে কিংবা ইন্টারনেটের ভয়ংকর জগতে নিমজ্জিত রয়েছে তাদেরকে সুন্দর জীবনে ফিরিয়ে আনতে এ বইটি হতে পারে এক মোক্ষম দাওয়াই।
আদর্শ পরিবার সিরিজের ৫ম বই ‘শিশুদের সমস্যা আমাদের করণীয়’। যে কারণে আমরা এ বইটি পড়ব—
১. শিশুদের নানারকম সমস্যা ও তার চমৎকার সমাধান খুঁজে পাবেন এ বইয়ের পাতায় পাতায়।
২. আপনার বাচ্চা কি অহরহ মিথ্যা বলে? অল্পতেই রাগ করে? রাতের বেলা একা একা ওয়াশরুমে যেতে ভয় পায়? কিংবা প্রতি রাতে ঘুমের ঘোরে বিছানা ভিজিয়ে দেয়? তবে তো এ বইটি আপনারই জন্য।
৩. আপনার সন্তান যদি পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে থাকে, ঠিক মতো খেতে না চায় অথবা অকারণে সবার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়, তবে এমন একটি বই হাতছাড়া করা মোটেও উচিত হবে না আপনার।
৪. বুদ্ধিমান বাবা-মায়েরা কখনো সন্তানের গুরুতর সমস্যাকে বড় হতে দেয় না। তারা সমস্যার শুরুতেই সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
আদর্শ পরিবার সিরিজের ৬ষ্ঠ বই ‘সন্তানকে বইমুখী করার কৌশল’। যে কারণে আমরা এ বইটি পড়ব—
১. আপনার সন্তান কি স্মার্টফোন আর ভিডিও গেমসে আসক্ত? সে কি একদমই বই পড়তে চায় না? পড়ার কথা বললেই কি তার মাথা ঘুরায়, পেট ব্যথা করে? তাহলে তো এই বইটি পড়া আপনার জন্য ফরজ!
২. বইয়ের প্রতি শিশুদের ভালোবাসা বাড়িয়ে দিতে, বইয়ের সাথে পরম বন্ধুত্ব তৈরি করতে, বইপাঠের গুরুত্ব এবং জ্ঞানচর্চার প্রয়োজনীয়তা ওদের সামনে মেলে ধরতে, সর্বোপরি একটি শিশুকে পরিপূর্ণভাবে বইমুখী করে গড়ে তুলতে হলে এমন একটি বই আপনার সংগ্রহে থাকতেই হবে।
৩. কিন্তু বাবা-মা হিসেবে সন্তানের হাতে আপনি কোন বইটি তুলে দেবেন? কেমন গল্প শুনিয়ে তাকে প্রতি রাতে ঘুম পাড়াবেন? কোন বইটি তাদেরকে সত্যের পথে নিয়ে যাবে আর কোন বই তাদেরকে আঁধারে নিমজ্জিত করবে—এ ব্যাপারে সঠিক দিকনির্দেশনা পাবেন বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিতে।