ভূত না থাকলে বাংলা শিশুসাহিত্য পানসে হয়ে যেতো বহু আগেই। সেই অতীতকাল থেকেই বাংলা শিশুসাহিত্যের বিখ্যাত লেখকেরা ভূতকে বিষয় করে গল্প-কাহিনি লিখেছেন।
ছোটদের প্রিয় লেখক ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন শুধু ভূতকে বিষয় করে এই প্রথম আস্ত একটি নতুন 'ছড়ার বই' লিখেছেন। ভূত নিয়ে এ এক অদ্ভুতুড়ে বই।
এ বইতে ঠাঁই পাওয়া ভূতগুলো এতোটাই আধুনিক যে ওরা ফেসবুকে আইডি খোলে, মানুষকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়; উচ্চ-শিক্ষার্থে, চিকিৎসার্থে বিদেশ মানে কানাডায় যায়; এমনকি মানুষবন্ধুর বুক-পকেটে লুকিয়ে থেকে তার সঙ্গে ইশকুলে ক্লাশ করে টিফিনও খায়!
এই বইয়ের ভূতেদের সঙ্গে দুই বাংলার লেখকদের ভূতের কোনো মিল নেই। ছোটদের সাহিত্যে এরকম ভূত আগে কখনো আসেনি।
লুৎফর রহমান রিটন
জন্ম ১লা এপ্রিল ১৯৬১, ঢাকায়। শিক্ষা : ১৯৭৯ সালে নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি; ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৮১ সালে এইচএসসি; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৮৯ সালে আবুজর গিফারি কলেজ থেকে স্নাতক। ইতোমধ্যে তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়ে গেছে। পুরস্কার পেয়েছেন অনেকগুলো। যেমনÑসিকান্দার আবু জাফর সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮২, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার ১৯৮২ ও ১৯৯৬, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুরস্কার ১৯৮৪ এবং বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ২০০৭। পেশা হিসেবে নিয়েছেন প্রধানত সাংবাদিকতাকে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় বিভাগীয় ও নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত কিশোর-তরুণদের উৎকর্ষধর্মীয় মাসিক আসন্ন ও ছোটদের মাসিক পত্রিকা ছোটদের কাগজ সম্পাদনা করেছেন বেশ কয়েক বছর। টেলিভিশনের উপস্থাপক ও নাট্যকার হিসেবেও খ্যাতিমান। বাংলা একাডেমীর নির্বাচিত কাউন্সিল সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছেন (১৯৯৯-২০০২)। জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি, প্রেস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন (জুন ২০০১-ফেব্রুয়ারি ২০০২)। বর্তমানে স্ত্রী শার্লি ও কন্যা নদীসহ কানাডা-প্রবাসী।