গল্পের মূল চরিত্র আর্সেল আজীম। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা মধ্যবিত্ত পরিবারের বেকার সন্তান। যার জীবন ডুবে ছিল হতাশার সমুদ্রে। আক্ষেপ ছিল একতরফা ভালোবাসা নিয়ে। মা বাবা হারানোর যন্ত্রণা তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল। একটা সময় পর বহু চড়াই উতরাই পেরিয়ে সে সফলতার দেখা পাই এবং বেকারত্বকে জয় করে প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে ভালোবাসা হাসিল করে নেয়। এই দীর্ঘসময় হয়ে যায় বহু পালাবদল,বহু দিনবদল। পরিশেষে বেদনা, একতরফা ভালোবাসা, হতাশার প্রতিচ্ছবি, এক সমুদ্র আক্ষেপ কাটিয়ে কিভাবে আর্সেল আজীমের জীবনে সফলতা এসেছে তা জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে শিপন নাথের প্রথম সমকালীন উপন্যাস "আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ।"
সমাজের বেকার- মধ্যবিত্ত তরুণ যারা প্রতিনিয়ত বেকারত্বের চাপে হতাশার সমুদ্রে ডুব দিয়েছে। মধ্যবিত্ত বলে জীবন পাল্টাতে পারছে না। তাদের সম্মুখে লেখক এই উপন্যাসের মাধ্যমে একটি দর্পণ তৈরি করেছেন মাত্র। যে দর্পণে তারা নিজেদের প্রতিচ্ছবি দেখে আতঙ্কিত না হয়ে জীবনের মোড় ঘুরানোর ভরসা পাবে। মনে শক্তি পাবে।