প্রাসংগিক কথা আমাদের বাঙালিবরেণ্য কবিদের কবিতা যা ছোটবেলায় পাঠশালায় পড়েছি তা এখনও মুখে মুখে রয়েছে। আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য বা কথোপকথনে ঐসব গুণীকবিদের কবিতার পংক্তি প্রাসংগিকভাবে বলে থাকি। যতদিন বাংলা ভাষা থাকবে, যতদিন এই বাঙালির আবাসভূমি থাকবে, যতদিন অন্তত: একজন বাঙালি থাকবে ততদিন আমাদের কবিদের কবিতার চয়নগুলি চিরন্তর হয়ে থাকবে। আমাদের বঙ্গেয়দ্বীপ এলাকায় আবেগপ্রবণ মানুষগুলো সাধারণত প্রকৃতির সাথে যেনো একাকার হয়ে যায়। এখানে হাজার রকমের পাখ-পাখালির সুর, এখানে রাখালের বাঁশির সুর বাঙালিদের মুগ্ধ করে। আমাদের ঐতিহ্য-কৃষ্টি আমাদের অহংকার। আমাদের জারি-শারি, ভাটিয়ালি-পল্লিগীতি, বাউলের একতারায় হারিয়ে যেতে যেনো নেই মানা। তাইতো পল্লিকবি জসিম উদদীন লিখেছেন, ‘‘তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়।’’ আবার আমাদের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন- ভোর হলো, দোর খোলো, খুকুমনি ওঠ রে।’’ এমনিভাবে আমাদের কাব্যজগত হয়ে উঠেছে সমৃদ্ধের ভান্ডার । বর্তমানে কবিতা আবৃত্তির সাহিত্যাকাশে একটি জায়গা করে নিয়েছে। ২০১০ সালে অমর একুশে বইমেলায় সম্পাদনা করেছিলাম ‘‘আবৃত্তির ডায়েরি’’। এবার আরও বৃহৎ কলেবরে ‘‘আবৃত্তির ডায়েরি-২’’ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ছোট থেকে বড় যারা আবৃত্তি করবেন তারা সহজেই এই গ্রন্থটির সহযোগিতা নিতে পারবেন। আর একটি কথা না বললেই নয় তা হলো আমাদের কিছু কবিতা মুখে মুখে থাকলেও কবিদের নাম হারাতে বসেছি। আমাদের বরেণ্য কবিদের নাম যেনো আমরা ভুলে না যাই। সেক্ষেত্রেও এ গ্রন্থটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস। আবৃত্তি প্রেমিদের প্রতি রইল নিরন্তর শুভেচ্ছা। -হামিদুল আলম সখা