কবি তাঁর আবেগ ও চিন্তাধারার সফল সমন্বয় ঘটান কবিতায়। আর আবৃত্তিকার ব্যঞ্জনাসহ সেই কবিতাকে পাঠককুলের সামনে নিয়ে যান। এখানে আবৃত্তিকারের মেধা ও মননকে ব্যবহারের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। যখন কবিতা তখন সেটা সাহিত্য, কিন্তু যখন কবিতাটি আবৃত্তি করা হয় তখন সেটা শিল্প। প্রাচীনকালে যখন লেখবার পদ্ধতি আমারে অজানা ছিল তখন কবিরা কাব্য রচনা করতেন মুখে মুখে এবং সে রচনা যুগ যুগ ধরে মানুষের মুখে মুখে ফিরতো আবৃত্তির মাধ্যমে। হোমারের ‘ইলিয়ড’, ‘ওডিসি’ চারণ কবিরা ধরে রেখেছিলেন আবৃত্তির মাধ্যমে। বেদ উপনিষদকেও আর্যরা আবৃত্তির মাধ্যমে বহণ করেছিল। সভ্যতার ক্রমবিকাশের অনেকটুকুই তখন আবৃত্তি ধারণ করেছিল। মানব মনের সূক্ষ্ম আবেগের বিশালতা তখন আবৃত্তি নির্ভর ছিল। এখন সময় এসেছে তখনকার আবৃত্তির ধারা নিয়ে ভাববার এবং কিভাবেই বা আবৃত্তি এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তার কারণ নির্ণয় করবার।