ভূমিকা কতকগুলি ঐতিহাসিক ও চাক্ষুষ সত্য ঘটনার হাসি-কান্না লইয়া ‘অবরোধ বাসিনী’ রচিত হইল। পাঠক-পাঠিকাগণ অধিকাংশ স্থলে হাসিবেন ,সন্দেহ নাই, কিন্তু কোনো কোন স্থলে তাঁহাদের মন সমবেদনার উদ্রেক হইবে এবং আমার বিশ্বাস তাঁহারা ‘তাহেরা’ মরহুমার অকাল মৃত্যুতে দুই বিন্দু অশ্রু বিসর্জন না করিয়া থাকিতে পারিবেন না। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল-ইনসপেক্টর পরম ভক্তিভাজন জ্ঞান-বৃদ্ধ মৌলবি আবদুল করিম সাহেব বি. এ., এম. এল. সি. দয়া করিয়া ‘অবরোধ বাসিনী’র ভূমিকা লিখিয়া দিয়াছেন। সেজন্য তাঁহাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি কারসিয়ং ও মধুপুর বেড়াইতে গিয়া সুন্দর সুদর্শন পাথর কুড়াইয়াছি; উড়িষ্যা ও মাদ্রাজে সাগরতীরে বেড়াইতে গিয়া বিচিত্র বর্ণের বিবিধ আকারের ঝিনুক কুড়াইয়া আনিয়াছি। আর জীবনের ২৫ বৎসর ধরিয়া সমাজ-সেবা করিয়া কাঠমোল্লাদের অভিসম্পাত কুড়াইয়াতেছি। হজরত রাবিয়া বসরী বলিয়াছেন , ‘ইয়া আল্লাহ! যদি আমি দোজখের ভয়ে এবাদত করি, তবে আমাকে দোজখে নিক্ষেপ কর ; আর যদি বেহেশতের আশায় এবাদত করি তবে আমার জন্য বেহেশত হা্রাম হউক। “ আল্লাহর ফজলে সমাজ সেবা সম্বন্ধে আমিও এখনও ঐরূপ বলিতে সাহস করি। আমারতো প্রত্যেকটি লোম গুনাহগার; সুতরাং পুস্তকের দোষ-ত্রুটির জন্য এবার পাঠক-পাঠিকাদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিলাম না। বিনীতা-- গ্রন্থকর্ত্রী