ভূমিকা ‘অবরোধ-বাসিনী’ লিখিয়া লেখিকা আমাদের সমাজের চিন্তা ধারার আর একটা দিক খলিয়া দিয়াছেন। অনেকে অনেক প্রকার ইতিহাস লিখিয়া যশস্বী হইয়াছেন;কিন্তু ভারতের অবরোধ -বাসিনীদের লাঞ্ছনার ইতিহাস ইতিপূর্বে আর কেহ লিখেন নাই। পুস্তক খানি পাঠ করিয়া বারংবার এই কথাই মনে পড়ে ,-আমরা কোথা হইতে আসিয়া কোথায় গিয়া পড়েছি! যে মুসলিম সমাজ এককালে সমস্ত জগতের আদর্শ ছিল , সেই সমাজের এক বিরাট অংশ এখন প্রায় সমস্ত জগতের নিকট হাস্যাস্পদ হইয়া দাঁড়াইয়াছে, একথা বলিলে বোধ হয়ে অত্যুক্তি হইবে না। কোথায় বীরবলা খাওলা ও রাজিয়া অশ্বপৃষ্ঠে আরোহন পূর্বক পুরুষ যোদ্ধাদের সহিত যুদ্ধ করিয়াছেন, আর কোথায় বঙগীয় মুসলিম নারী চোরের হস্তে সর্বঙ্গ সমর্পন করিয়া নীরবে অশ্রু বিসর্জন করিতেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস , ‘অবরোধ -বাসিনী’ পাঠে ঘুমন্ত জাতির চিন্তা-চক্ষু উন্মীলিত হইবে। সর্বশেষ লেখিকাকে েএই সৎসাহসের জন্য ধন্যবাদ জানাই। ‘অবরোধ-বাসিনী’র প্রতি পাঠক -পাঠিকাদের সহৃদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি। আবদুল করিম (বি. এ. এম. এল. সি)
মোরশেদ শফিউল হাসান
মোরশেদ শফিউল হাসান ১৯৫৩ সালের ২১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড রেলওয়ে স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল এবং চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে লেখাপড়া করেছেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন।