সাতটি অতিপ্রাকৃত গল্পের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে গল্পগ্রন্থ 'আত্মা'। লুসিফারের উপাসনা করে মুরাদ তার স্ত্রী মীরার 'আত্মা' বন্দী করার চেষ্টা করে কিন্তু তার সেই চেষ্টা মীরার বোন নীরার কারণে ব্যর্থ হয়। সালেহা তার ভাই নুরু মিয়ার কালো জাদুর সহায়তায় শ্বশুর বাড়ির সব সংপত্তি কবজা করতে গিয়ে নিজেই পায়ের বদলে শিকড়যুক্ত বাচ্চা প্রসব করে। মায়ার টানে রুমেলের আত্মা বার বার তার প্রেমিকা রুশার কাছে ছুটে আসে। আর রুশাও রুমেলের প্রেমে অন্ধ, তাই রুমেলের আত্মার সাথে চলতে থাকে রুশার কথোপকথন। একদিন রুশাও তার নিজের জীবন বিসর্জন দেয় রুমেলের জন্য। লাশ টানতে টানতে মোতালেব মিয়া ক্লান্ত, একদিন লাশ বহন করতে গিয়ে পথিমধ্যে অসংখ্য প্রেতাত্মার আক্রোশের শিকার হন। শত শত প্রেতাত্মার মধ্যে একটা প্রেতাত্মা ছিল তার নিজের বোন জরিনার স্বামী সবুর মিয়ার, যা দেখে মোতালেব রীতিমতো হতভম্ব! চান মাঝির মৃতছেলে কাশেমের ছদ্মবেশে ভোর রাতে নদীতে মাছ ধরার সময় এক পিশাচের আবির্ভাব হয়। এমন ভয়ংকর পরিস্থিতিতে মাঝ নদীতে চান মাঝির মৃত্যু হয়।