মোসাদ্দেক টাওয়ারের এগারোতলা থেকে একটা রেইনকোট পরা লোককে একটা চারবছরের বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলে মেরে ফেলতে দেখল আনিশা। ছুটে পালিয়ে আসার পর শুনল বাচ্চাটার মৃত্যুর পরপরই রেইনকোট পরা এক লোক আত্মহত্যা করেছে এগারোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত হল, রেইনকোট পরা লোকটা নিহত বাচ্চাটার নিজের বাবা ছিল। কিন্তু আনিশা একাই জানল, সিসিটিভিতে যা-ই থাক, খুনি অন্য লোক, বাচ্চাটার বাবা না। সেরাতে রোকেয়া হলে আনিশার উপর হামলা করল সেই খুনি। আনিশাকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হল হলের দারোয়ান আর এক সিনিয়র আপু। সবাই-ই খুন হল, খুনির চেহারা দেখে ফেলায়।
আনিশা প্রাণে বাঁচতে সাহায্য চাইল নাইজেরিয়ার এক মিশনে এক পা হারানো প্রাক্তন সেনাবাহিনীর মেজর, সাংবাদিক ও গোয়েন্দা মি: উমারের। খুনি কেন নিজের চেহারা গোপন রাখতে এতগুলো খুন করল, সেটা খুজতে গিয়ে মি: উমার জড়িয়ে পড়ল মদ, জুয়া, নারী, হেরোইন ব্যবসার জালে বোনা আন্ডারওয়ার্ল্ডের এক রহস্যময় ধাঁধায়, যেখানে শিশুদের কিডন্যাপ করে বডি স্টাফার বানিয়ে হেরোইন পাচার করা হয়। বুদ্ধির এক নৃশংস খেলায় মি: উমার মেতে উঠল ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের এক অদেখা রহস্যময় গডফাদারের সাথে। যে খেলার জন্য অসংখ্য নিরীহ মানুষ জীবন দিয়েছে। মি: উমার এই খেলার পাল্টা চালে সফল না হলে মারা যাবে আরো নিরীহ মানুষ, ঢাকাকে গ্রাস করবে মাফিয়া রাজ্যের এক কালো ছায়া....