তাত্ত্বিক পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের লেখা আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম বইটিকে বলা হয় সর্বকালের অন্যতম জনপ্রিয় বিজ্ঞানের বই। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে বইটি ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও তার বিষয়বস্তু সবার বোধগম্য হয়নি বলে আশঙ্কা ছিল হকিংয়ের। কারণ মহাবিশ্ব, কৃষ্ণগহ্বর, আপেক্ষিকতা তত্ত্ব, কোয়ান্টাম তত্ত্ব, স্ট্রিং থিওরি কিংবা থিওরি অব এভরিথিংয়ের মতো বিষয়বস্তু বেশ জটিল। তাই সাধারণ পাঠকদের কাছে বিষয়গুলো আরও সহজ করার তাগিদ অনুভব করেছিলেন হকিং। সেজন্যই কয়েক বছর পরে লেখেন আ ব্রিফার হিস্ট্রি অব টাইম। বিষয়বস্তুগুলো আরও স্পষ্ট করতে এ বইতে সেগুলো আরও সহজভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। যোগ করা হয়েছে সহজবোধ্য উদাহরণ ও বেশকিছু ছবি। কাজেই বইটির নাম ব্রিফার বা সংক্ষিপ্ততর হলেও তা তাৎপর্যে বিশাল। হকিং ভক্তদের অবশ্যপাঠ্য।
স্টিফেন হকিং
জন্ম ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে। বিজ্ঞানে আবিষ্কারের নতুন দিগন্ত যেমন তিনি খুলে দিয়েছেন, তেমনি জটিল বিষয়গুলাে সাধারণ পাঠকদের কাছে সহজ ভাষায় তুলে ধরেছেন জনপ্রিয় ধারার বই লিখে। সেখানেও সফলতার প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম বইটি প্রকাশের পর লন্ডন সানডে টাইমস-এ এটি টানা ২৩৭ সপ্তাহ বেস্ট সেলার তালিকায় থেকেছে। তিনি বিজ্ঞান নিয়ে লিখেছেন আরও কিছু বই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময়েই হকিংয়ের দুরারােগ্য মােটর নিউরন রােগ ধরা পড়ে। সেসময় চিকিৎসকেরা তাঁর আয়ু মাত্র দু’বছর বেঁধে দিয়েছিলেন।
কিন্তু অদম্য মানসিক শক্তির জোরে তিনি পড়ালেখা ও গবেষণা চালিয়ে যান। দৈহিক অক্ষমতা জয় করে একসময় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের। লুকাসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে টানা ৩০ বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৪ সালে তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। নাম দ্য থিওরি অব এভরিথিং।
লিওনার্ড ম্লোডিনো
লিওনার্দ ডিনাও ক্যালটেকের পদার্থবিদ এবং বহুল বিক্রিত পুস্তক দ্য ড্রাঙ্কাৰ্ডস ওয়াক : হাউ র্যামনেস রুলস আওয়ার লাইভস, ইউক্লিডস উইণ্ডো : দ্য স্টোরী অব জিওমেট্রি ফ্রম প্যারালাল লাইনস টু হাইপারস্পেস এবং ফেইনম্যান’স রেইনবাে আ সার্চ ফর বিউটি ইন ফিজিক্স এন্ড ইন লাইফ এর লেখক। তিনি স্টার ট্রেক : দ্য নেক্সট জেনারেশন এরও লেখক। বর্তমানে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সাউথ প্যাসাডােনায় বসবাস করছেন।