প্রাচীনকাল থেকে বঙ্গভূমি নানান শাসকের দ্বারা শাসিত হয়েছে।
কখনো কখনো এ ভূখণ্ডের শাসকেরা নিজেদের স্বাধীন দাবি করলেও ১৯৭১ সালের পূর্বে বাঙালি কখনো প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সফলতায় ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এতে হাজার মাইলের ব্যবধান থাকা দুটি অঞ্চল নিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে গঠিত হলো পাকিস্তান। কিন্তু হাজার হাজার মাইলের ব্যবধানের দুটো রাষ্ট্র ধর্মের ভিত্তিতে এক পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হলেও ধর্মীয় পরিচয় নয় বরং বাংলার নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বাঙালিকে স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে মানুষের আত্মপরিচয় সম্বন্ধে বাংলার সকল সম্প্রদায়ের সম্মিলিত চেতনাই বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি। ফলে এ ভারত ভাগ এবং পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা যে অবিবেচনাপ্রসূত এবং বাস্তবতা বিবর্জিত, তা অন্তত পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর অংশ হয়ে পূর্ব বাংলার জনগণ অল্পকালেই উপলব্ধি করতে পেরেছিল। যেখানে বাঙালিদের ব্যাপক সমর্থন- ব্যতীত পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতো কি না সন্দেহ, সেখানে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এ রাষ্ট্রে তাদের অবস্থা দাঁড়ায় দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের। শুরু থেকেই পূর্ববাংলা পরিণত হয় পশ্চিম পাকিস্তানের 'কলোনি' বা বাজারে। ফলে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার