১৯৭১ সালে ভারতের মোট ৮২৫টি ক্যাম্পে ৯৮ লাখ ৯৯ হাজার ৩০৫ জন শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিলেন। ভারত সরকার এবং জনগণ শরণার্থীদের যে সহায়তা দিয়েছিলেন, তা ভুলবার নয়। প্রতিটি দিন ছিল অনিশ্চয়তা, আবেগ আর উৎকণ্ঠায় পূর্ণ। অনাহার-অর্ধাহার, রোগশোক আর মৃত্যু ছিল নৈমিত্তিক ব্যাপার। নিজ গৃহ, নিজ দেশ, পিতৃ-পিতামহের ভিটে ছেড়ে সেই শরণার্থী জীবন কতটা কষ্টকর ছিল, তা আজ শুধু একটি বইয়ের পাতায় তুলে ধরা সম্ভব নয়। তথাপি শরণার্থী জীবনের দুঃখ-কষ্ট আর ত্যাগ-তিতিক্ষার কিছুটা চিত্র পাওয়া যাবে এই-বইয়ে।
শরণার্থী ক্যাম্পের কিছু কিছু বিবরণসহ এই পুস্তকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা, মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বব্যঞ্জক যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের পরম বন্ধু শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তা, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের প্রতিবেদন, বিশ্বদরবারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মতামত এবং মুজিবনগর সরকার সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করা হয়েছে এ বইয়ে। বিশেষত বিশ্ব জনমতে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বীকৃতির পেছনে শরণার্থীদের চরম দুর্দশা এবং মানবেতর জীবন একটি শক্তিশালী অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল।
ননী গোপাল সরকার
পিতা : ডা. নগেন্দ্র চন্দ্র সরকার মাতা : সন্ধ্যা রানী সরকার জন্ম : ২৯ মে ১৯৫৮ ইংরেজি। নেত্রকোণা জেলার অন্তর্গত ধীতপুর গ্রাম। পড়াশােনা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স পেশা : রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শখ : বই পড়া, লেখালেখি ও লােকসংস্কৃতির অন্বেষণ।। সংগঠক : ‘জনান্তিক নাট্যগােষ্ঠী, নেত্রকোণা’র প্রতিষ্ঠাতা; নেত্রকোণা রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।