জাস্টিস স্যার সৈয়দ আমীর আলীর জন্ম ১৮৪৯ সালের ৬ এপ্রিল, হুগলি জেলার চুড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতা সৈয়দ সাদত আলীর। পূর্বপুরুষরা ইরান থেকে এদেশে এসেছিলেন। তাঁর বংশের অনেকেই ছিলেন পারস্য, দিল্লি ও অযােধ্যা রাজদরবারের বিশিষ্ট প্রতিনিধি।
তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে এম. এ. ও আইন পাস করেই আমীর আলী কলকাতায় প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেটের পদ লাভ করেন। কিছুকাল পরই চাকরি ছেড়ে স্বাধীনভাবে আইন ব্যবসা শুরু। এরপর ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে ১৮৭৩ সালে বিলেতের ইনার টেম্পল থেকে কৃতিত্বের সাথে ব্যারিস্টারি পাস। ওই বছরই স্বদেশে প্রত্যাবর্তন এবং হাইকোর্টে, আইন-ব্যবসার সূত্রপাত। ১৮৭৪ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলাে নির্বাচিত হন। পরের বছর হন প্রেসিডেন্সি কলেজের। আইনের অধ্যাপক। ১৮৮১ সালে তাকে টেগাের ল’ প্রফেসর নিযুক্ত করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সরকার তাঁকে প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য মনােনীত করেন। তিনি যােগ্যতার সাথেই সে দায়িত্ব পালন করেন ১৮৮৩ সাল পর্যন্ত। ১৮৯০ সালে তিনি নির্বাচিত হন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। পরে তিনি প্রধান বিচারপতির পদ অলংকৃত করেন। সুদীর্ঘ চৌদ্দ বছর সে দায়িত্ব পালনের পর ১৯০৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। স্যর সৈয়দ আমীর আলী বিয়ে করেছিল� ...
বিস্তারিত দেখুন
জাস্টিস স্যার সৈয়দ আমীর আলীর জন্ম ১৮৪৯ সালের ৬ এপ্রিল, হুগলি জেলার চুড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতা সৈয়দ সাদত আলীর। পূর্বপুরুষরা ইরান থেকে এদেশে এসেছিলেন। তাঁর বংশের অনেকেই ছিলেন পারস্য, দিল্লি ও অযােধ্যা রাজদরবারের বিশিষ্ট প্রতিনিধি।
তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে এম. এ. ও আইন পাস করেই আমীর আলী কলকাতায় প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেটের পদ লাভ করেন। কিছুকাল পরই চাকরি ছেড়ে স্বাধীনভাবে আইন ব্যবসা শুরু। এরপর ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে ১৮৭৩ সালে বিলেতের ইনার টেম্পল থেকে কৃতিত্বের সাথে ব্যারিস্টারি পাস। ওই বছরই স্বদেশে প্রত্যাবর্তন এবং হাইকোর্টে, আইন-ব্যবসার সূত্রপাত। ১৮৭৪ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলাে নির্বাচিত হন। পরের বছর হন প্রেসিডেন্সি কলেজের। আইনের অধ্যাপক। ১৮৮১ সালে তাকে টেগাের ল’ প্রফেসর নিযুক্ত করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সরকার তাঁকে প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য মনােনীত করেন। তিনি যােগ্যতার সাথেই সে দায়িত্ব পালন করেন ১৮৮৩ সাল পর্যন্ত। ১৮৯০ সালে তিনি নির্বাচিত হন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। পরে তিনি প্রধান বিচারপতির পদ অলংকৃত করেন। সুদীর্ঘ চৌদ্দ বছর সে দায়িত্ব পালনের পর ১৯০৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। স্যর সৈয়দ আমীর আলী বিয়ে করেছিলেন এক সম্ভ্রান্ত ইংরেজ পরিবারে। তাই তার অবসর জীবন বিলেতেই কাটে। ১৯০৯ সালে তাঁকে বিলেতের প্রিভি কাউন্সিলের বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়। তার আগে কোন ভারতীয় এই কিংস কাউন্সিলে প্রবেশ করতে পারেননি। - জাস্টিস আমীর আলীর চেয়ে লেখক আমীর আলীর স্থান অনেক উচেচ । তিনি ইসলাম সম্পর্কে ও আইন-বিষয়ক বহু গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তার মধ্যে কয়েকটির নাম দেওয়া হল : ১। দ্য স্পিরিট অব ইসলাম। ২। হিষ্টী অব স্যারাসেন। ৩। এথিকস অব ইসলাম। ৪। মহামেডান ল ইত্যাদি। সৈয়দ আমীর আলীর গুণবত্তায় মুগ্ধ হয়ে ব্রিটিশ সরকার তাকে সি, আই ই. খেতাব দিয়ে সম্মানিত করেন। ১৯২৮ সালে এই প্রতিভাবান পুরুষ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিলেতের বাড়িতে।