জোনাথন সুইফট : জন্ম আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে ৩০ নভেম্বর ১৬৬৭ সালে। জোনাথন একুশ বছর বয়সে গ্রাজুয়েট হবার পর ইংলান্ডে চাকরি শুরু করলেন, তাও একজন কূটনীতিকের সেক্রেটারি হিসেবে। আর সেই কূটনীতিক হলেন স্যার উইলিয়াম টেম্পল। এই টেমেটলের এস্টেটে বিশাল পাঠাগার ছিল, তাই জোনাথন বইয়ের পােকা হয়ে গেলেন। ওখানে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে ওই সময়কার নামকরা সব লেখক, পণ্ডিত আর ধনী রাজনীতিকদের সঙ্গে। নিজের মেধারও পরিচর্যা করেছেন, যে মেধা তাঁকে একদিন বিপুল খ্যাতি এনে দেবে—বিদ্রুপাত্মক রচনা আর রসালাে প্রবন্ধ লেখার সুবাদে—নামকরা লােকদের নিয়ে মজা করে, বােকামিতে ভরপুর আইডিয়া, প্রথা আর আচরণের কথা লিখে। সে-সময় লন্ডনে অনেক স্যাটায়ার লেখকের স� ...
বিস্তারিত দেখুন
জোনাথন সুইফট : জন্ম আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে ৩০ নভেম্বর ১৬৬৭ সালে। জোনাথন একুশ বছর বয়সে গ্রাজুয়েট হবার পর ইংলান্ডে চাকরি শুরু করলেন, তাও একজন কূটনীতিকের সেক্রেটারি হিসেবে। আর সেই কূটনীতিক হলেন স্যার উইলিয়াম টেম্পল। এই টেমেটলের এস্টেটে বিশাল পাঠাগার ছিল, তাই জোনাথন বইয়ের পােকা হয়ে গেলেন। ওখানে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে ওই সময়কার নামকরা সব লেখক, পণ্ডিত আর ধনী রাজনীতিকদের সঙ্গে। নিজের মেধারও পরিচর্যা করেছেন, যে মেধা তাঁকে একদিন বিপুল খ্যাতি এনে দেবে—বিদ্রুপাত্মক রচনা আর রসালাে প্রবন্ধ লেখার সুবাদে—নামকরা লােকদের নিয়ে মজা করে, বােকামিতে ভরপুর আইডিয়া, প্রথা আর আচরণের কথা লিখে। সে-সময় লন্ডনে অনেক স্যাটায়ার লেখকের সাথে তার পরিচয় হয়েছিল। মার্টিনাস স্কিবেলারাস ক্লাব গড়ে তুলে ছিলেন তারা। তাদের একটা প্রজেক্ট ছিল শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান আর আধুনিক মানুষের রাজনীতি নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা। প্রত্যেক ক্লাব সদস্যকে বিষয় বলে দেওয়া হতাে, সেটার ওপর নিজের স্যাটায়ার লিখতে হবে তাকে। সুইফটকে দেওয়া বিষয় ছিল দূর দেশে ভ্রমণ নিয়ে লেখা বই, কারণ ওগুলাে পড়া তখনকার লন্ডন সমাজে বেশ জনপ্রিয় একটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছিল। জোনাথন সুইফট ১৭৪৫ সালে ৭৮ বছর বয়সে মারা যান, তবে এখনও তাকে ইংরেজি সাহিত্যের সবচেয়ে বড় স্যাটায়ারিস্ট হিসেবে গণ্য করা হয়।